শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ২৩ জানুয়ারী, ২০২২, ০২:০১ রাত
আপডেট : ২৩ জানুয়ারী, ২০২২, ০২:০১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাতিল হচ্ছে বুকিং, কুয়াকাটার হোটেল ব্যবসায় আবারও ধস

নিউজ ডেস্ক : গত ২ বছরের করোনার বিধিনিষেধের ক্ষতি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতকে ঘিরে গড়ে উঠা পর্যটন শিল্প। কিন্তু নতুন করে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পর্যটন এলাকাটির হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা আবারও লোকসানের মুখে পড়েছেন। ডেইলি স্টার

দ্রুত সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে চলতি পর্যটন মৌসুমে একের পর এক বুকিং বাতিল হচ্ছে। হোটেল-মোটেল মালিকদের দেওয়া তথ্যমতে, সব মিলিয়ে কুয়াকাটায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৮০ লাখ টাকার আর্থিক লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের।

পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ অবস্থায় গেছে যে কয়েকজন হোটেল মালিক তাদের ব্যবসা গুটিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মো. শফিকুর রহমান চাঁন মিয়ার মালিকানাধীন আবাসিক হোটেল বনানী প্যালেসের ম্যানেজার মো. সাহিন  বলেন, 'আজ (শনিবার) পটুয়াখালীর একটি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বার্ষিক বনভোজনের জন্য ২৫০ জনের বুকিং ছিল। কিন্তু ২ দিন আগে তারা বুকিং বাতিল করেছেন।'

হোটেলটির ৩২টি ডাবল রুমের মধ্যে গতকাল শুক্রবার মাত্র ২টি রুমে পর্যটক ছিলেন।

বাকি ৩০টি রুম খালি থাকায় তাদের ৪৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে মো. সাহিন বলেন, 'এখন স্টাফদের বেতন-ভাতা পরিশোধই আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।'

আরেকটি আবাসিক হোটেল খাল প্যালেসের মালিক আ. রহিম খান জানান, তার হোটেলে ঢাকার ১৫০ জন পর্যটকের আজ বুকিং ছিল। কিন্তু তারা বুধবার বুকিং বাতিল করেছেন। এ ছাড়া, যশোরের ৪০ জন পর্যটক ২০ ও ২১ জানুয়ারির জন্য বুকিং দিলেও করোনা পরিস্থিতির জন্য বুকিং বাতিল করেছেন। সব মিলিয়ে নভেম্বর থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত কমপক্ষে ৮০টি বুকিং বাতিল হয়েছে তাদের।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, 'কুয়াকাটায় ১৩০টি মানসম্মত আবাসিক হোটেল রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৭০টি হোটেলের মালিক আমাদের সমিতির সদস্যভুক্ত। এসব হোটেলে ১০ হাজার পর্যটকের আবাসন সুবিধা রয়েছে। সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার পর্যটকের সংখ্যা সাধারণত বেশি থাকে। কিন্তু গতকাল শুক্রবার মাত্র ৩৩ জন পর্যটক কুয়াকাটায় ছিলেন।'

'বাকি প্রায় ৯ হাজার ৭০০ পর্যটকের আবাসন খালি থাকায় হোটেলেগুলোর কমপক্ষে ৭৫ লাখ থেকে ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে', যোগ করেন তিনি।

মোতালেব শরীফ আরও বলেন, 'করোনার কারণে গত ২ বছরে এখানকার হোটেলে মালিকসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের অন্তত ৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন আবার নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় আমাদের আরও লোকসান গুনতে হচ্ছে। অনেক হোটেল মালিক ব্যবসা বন্ধের পরিকল্পনা করছেন।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়