খালিদ আহমেদ: [২] আজ বুধবার শুনানি নিয়ে নৌ আদালতের বিচারক স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগম এ আদেশ দেন।
[৩] ধার্য তারিখ অনুযায়ী, লঞ্চের অন্যতম মালিক মো. হামজালাল শেখসহ কারাগারে থাকা সাত আসামিকে আজ নৌ আদালতে হাজির করে পুলিশ। সাত আসামির মধ্যে তিনজন লঞ্চের মালিক। চারজন মাস্টার-চালক।
[৪] আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি আসামিদের জামিন প্রার্থনার পাশাপাশি একই ঘটনায় একাধিক মামলা দায়েরের কারণে ন্যায়বিচার বিঘ্নিত হওয়ার বিষয়ে আদালতে যুক্তি দেন।
[৫] জামিন প্রার্থনায় আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন লঞ্চমালিকদের নির্দোষ দাবি করেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার সময় তারা নৌযানে ছিলেন না। তারা এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী নন।
[৬] রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বেল্লাল হোসাইন জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ‘যে সম্পদ থেকে আমরা অধিকার, সুযোগ-সুবিধা ভোগ করি, তার দায়দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ নেই। লঞ্চটি যথাযথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা না করার দায় মালিকেরা এড়াতে পারেন না।’
[৭] উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে নৌ আদালতের বিচারক আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।
[৮] গত ২৩ ডিসেম্বর মধ্যরাতে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ৪৭ জনের মৃত্যু হয়। দগ্ধ অনেকে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিখোঁজ অনেকে।
[৯] অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গত ২৬ ডিসেম্বর নৌ আদালতে মামলা করে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক মো. শফিকুর রহমান।
[১০] মামলার আসামিরা হচ্ছেন লঞ্চটির স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল আরাফ অ্যান্ড কোম্পানির চার মালিক মো. হামজালাল শেখ, মো. শামিম আহম্মেদ, মো. রাসেল আাহাম্মেদ ও ফেরদৌস হাসান, লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার মো. রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় মাস্টার মো. খলিলুর রহমান ও দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম।
[১১] মামলায় আসামিদের নামে অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ (সংশোধনী ২০০৫)-এর ৫৬, ৬৬, ৬৯ ও ৭০ ধারায় পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণযন্ত্র না থাকা, জীবন রক্ষাকারী পর্যাপ্ত বয়া ও বালুর বাক্স না থাকা, ইঞ্জিনকক্ষের বাইরে অননুমোদিতভাবে ডিজেলবোঝাই অনেক ড্রাম রাখা এবং রান্নার জন্য গ্যাসের চুলা ও সিলিন্ডার রাখার অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :