শিরোনাম
◈ এআই, কোয়ান্টাম ও নিউক্লিয়ার এনার্জিতে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বড় চুক্তি ◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল

প্রকাশিত : ১৫ জানুয়ারী, ২০২২, ০২:৩৪ রাত
আপডেট : ১৫ জানুয়ারী, ২০২২, ০২:৩৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলা বলতে না পারলেও ৪৫ বছর পর মাকে খুঁজতে বাংলাদেশে ম্যারিও (ভিডিও)

অনলাইন ডেস্ক : জীবনের কিছু গল্প হার মানায়, সিনেমার চিত্রনাট্যকেও। সুইজারল্যান্ডের ম্যারিওর গল্পটাও এমনই। ৪৫ বছর আগে পারিবারিক অস্বচ্ছলতায়, পাঁচ বছর বয়সে ঠাঁই মেলে অনাথ আশ্রমে। এরপর তাকে দত্তক নেন এক সুইস দম্পতি। কিছুদিনের জন্য দেশে ফিরেছিলেন শেকড়ের টানে। আবছা স্মৃতিতে খুঁজে ফিরছেন হারিয়ে যাওয়া আপনজনকে। চ্যানেল24

বাংলা বলতে না পারলেও মা-কে খুঁজে ফেরার হৃদয়ের সমস্ত আবেগ যেনো এভাবেই স্বস্তি খুঁজে পেলো মায়ের আপন সে ভাষাতেই।

সময়ের আবর্তে বাংলাদেশের কুলসুম এখন সুইজারল্যাণ্ডের ম্যারিও। দেশ যখন বিজয়ের পঞ্চাশে, শেকড়ের গল্পে ঠিক তখন সমবয়সী কুলসুমও নিরন্তর খুঁজে ফিরছেন হারিয়ে যাওয়া তার আপন সত্ত্বা।

কুলসুম বলেন, আমি একদিনের জন্যও ভূলতে পারিনি; সত্যি বলতে অতীতটা সবসময়ই আমার বর্তমানটাকে নাড়া দিয়ে যায়; আর আমি ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে থাকি; আমার পরিবারকে খুঁজে ফিরি।

গল্পের শুরুটা ৪৫ বছর আগের। যখন কুলসুমের বয়স মাত্র পাঁচ। আগুনে পুড়েছে ঘর, বাবা মৃত, সচ্ছল নয় সংসারও। টানাটানির সে ভিটে ছাড়া জীবন থেকে মেয়েকে উন্নত জীবনের ঠিকানা দিতে চেয়েছিলেন মা। পরে চাচার পরামর্শে কুলসুমের ঠাঁই হয় একটি অনাথ আশ্রমে। সাল তখন ১৯৭৭।

কুলসুম জানান, সুইজারল্যাণ্ডের এক দম্পতি সে অনাথ আশ্রম থেকে দত্তক নেন আমাকে। তারপর সেখানেই সবকিছু। হ্যাঁ এটা ঠিক। আমি একটা ভালো জীবন হয়তো পেয়েছি, তবে আমার ৪৫ বছরের সুখে, ওই পাঁচ বছর দুঃখ হয়েই চেপে আছে; মনের মধ্যে প্রতিটা মুহুর্তই চাওয়া ছিলো পরিবারকে ফিরে পাবার, সেই আকাঙ্খা থেকেই অবশেষে ফিরে আসা।

ফিরে পাবার টান যদিও আছে, তবে সে টানে রয়েছে উচাটনও। কেননা কুলসুমের কাছে নেই এমন কোনো নথি, যা তাকে পথ দেখাতে পারে। এমনকি সে ভুলে গেছে অনাথ আশ্রমের নামটাও। যতোটুকু মনে আছে তাও কুয়াশার চাদরেই মোড়ানো।

কুলসুম বলেন, আমার যতোটুকু মনে আছে, মায়ের নাম ছিলো মরিয়ম। আমরা চার ভাই-বোন ছিলাম। বাবা ছিলেন ফার্মাসিস্ট। আমি মায়ের সাথে লঞ্চে করে এসেছিলাম ঢাকায়। এরপর উঠেছিলাম মোহাম্মদপুরে চাচার বাসায়। যদিও ঠিকানাটা মনে নেই। তবে এতোটুকু মনে আছে চাচার বাসা থেকে অনাথ আশ্রমের দূরত্ব ছিলো খুবই কম। মোহাম্মদপুর থানার পাশে ছিলো অনাথ আশ্রমটা।

ম্যারিওর কথা ধরে আমরাও গিয়েছিলাম মোহাম্মদপুর আওরঙ্গজেব রোডে। যেখানে এখন ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়, তবে আগে এটা মোহাম্মদপুর থানা ছিলো। যদিও তার পাশে নেই কোনো অনাথ আশ্রম। বরং সেখানে এখন দাঁড়িয়ে আছে মধুমতি নামের অট্টালিকা।

এখন ম্যারিয়ন শিক্ষকতা করেন সুইজারল্যাণ্ডে। অল্প কিছুদিনের জন্য দেশে এসেছিলেন প্রাথমিক খোঁজ-খবর নেবার জন্য। প্রয়োজনে আবারও আসবেন। বারবার আসবেন। যতোদিন না মেলে হারিয়ে যাওয়া পরিবার। আর তাই সবার কাছেই কুলসুমের আকুতি, তোমরা সবাই আমাকে সাহায্য করো, যেনো আমি আমার মাকে, আমার পরিবারকে খুঁজে পাই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়