দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী
নায়ক মিঠুন চক্রবর্তী মুম্বাইয়ের একটি ব্যাংকে গিয়ে ম্যানেজারের কাছে ৫০,০০০/- টাকা লোন চাইলেন। ব্যাংক ম্যানেজার গ্যারান্টি চাইলো। বাঙালি বাবু ব্যাংকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা নিজের বিএমডবিøউ গাড়িটি দেখিয়ে বললেন, ওটি গ্যারান্টি রাখতে পারেন। ব্যাংক ম্যানেজার গাড়ির কাগজপত্র দেখে বাঙালি বাবুকে ৫০,০০০/ টাকা লোন দিতে রাজি হলেন। বাঙালি বাবু ৫০,০০০ টাকা নিয়ে চলে গেলেন। এক কোটি টাকার গাড়ি মাত্র ৫০,০০০ টাকায় বন্ধক রেখে যাওয়াতে ব্যাংকের কর্মচারীরা বাঙালির বোকামিতে নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করতে লাগলেন। দুই মাস বাদে, বাঙালি বাবু ব্যাংকে এসে নিজের গাড়ি ফেরত চাইলেন এবং ৫০,০০০ মূল আর ১২৫০ টাকা সুদ দিয়ে গাড়ি ছাড়িয়ে নিলেন।
ম্যানেজার থাকতে না পেরে জিগ্যেস করলেন, ‘স্যার, কোটিপতি হয়েও মাত্র ৫০,০০০ টাকার জন্য নিজের বিএমডবিøউ গাড়ি কেন বন্ধক রাখতে হলো একটু বলবেন? বাঙালি বাবু, দেখুন- আমার দুই মাসের জন্য আমেরিকা যাওয়ার দরকার ছিলো। কলকাতা থেকে মুম্বাই এসে গাড়ি র্পাকিং করা নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলাম। র্পাকিং ওয়ালারা দুই মাসের জন্য ২০,০০০ টাকা চাইছিলো। আপনার এখানে মাত্র ১,২৫০ টাকায় আমার কাজ হয়ে গেলো। গাড়িটাও সিকিরিউড থাকলো। তা ছাড়া আপনি ৫০,০০০ টাকাও দিলেন খরচ করার জন্য। ধন্যবাদ। ম্যানেজার বেহুঁশ। এটাই বাঙালির বুদ্ধি। Delowar Hussain Chowdhury’র ফেসবুক ওয়ালে লেখাটি পড়ুন।