আরিফ জেবতিক: বাংলা সিনেমার এক নায়িকা তাকে এড়িয়ে চলে। তাই নায়িকার সহযোগীকে ফোন করে সেই ফোনে নায়িকার সঙ্গে কথা বলছে। এক্ষুণি ফাইভ স্টার হোটেলের স্যুট রুমে নায়িকাকে যেতে হবে। সে হুমকি দিচ্ছে, ‘আমি এখন পুলিশ, ডিবি, এসবি, এনএসআই, ডিজিএফআই পাঠাচ্ছি, তোকে বাইন্ধা নিয়ে আসবে।’ এই লোক বলছে, ‘তোকে আমি রেপ করবো, সামনে পিছে দুদিক দিয়ে।’ এই যে ফাইভ স্টার হোটেলে বসে রাষ্ট্রের বাহিনী দিয়ে নায়িকা ধরে নিয়ে এসে ধর্ষণের আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করছে, এই লোককে এই শক্তি কে দিয়েছে? কবি এখানে নিরুত্তর। মন্ত্রিসভার সমন্বিত দায়ভার প্রধানমন্ত্রীর। তিনি এরকম একটি ধর্ষক মানসিকতার, অশ্লীল, সাইকোপ্যাথকে তার সার্কেলে কেন রেখেছেন এবং রাখা কন্টিনিউ করবেন কিনা সেটা দেখার জন্য আমি আগ্রহভরে অপেক্ষা করবো। এই লোলুপ উন্মাদকে পোর্টফোলিওতে রেখে তিনি যেখানেই নারী স্বাধীনতা, নারী নিরাপত্তা, সুশীল সৌন্দর্য অথবা আর যতোই নীতিবাক্য আগামীতে বলবেন, সবই অর্থহীন হয়ে উঠবে।
আমি জানি সহমত ভাইয়েরা কিছুক্ষণের মধ্যেই ‘ইগালা ইডিট করা যায় ভাই’ বলে ঝাঁপিয়ে পড়বে। এগুলোকে বিএনপির ষড়যন্ত্রও বলা শুরু হবে। বলবে যে জাইমা রহমানকে নিয়ে অশ্লীল কথা বলার শোধ তুলতে এই অডিও ফাঁস করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, কাপড়ে লেগে থাকা নোংরাকে যতোই ‘ভেজিটেবল ডাই’ বলে চালানোর চেষ্টা হোক, বিষ্ঠা আসলে বিষ্ঠাই। পাবলিক বিষ্ঠাকে বিষ্ঠাই বলছে। কাপড় ধুবেন নাকি বিষ্ঠা লাগিয়ে রাখবেন, সেই সিদ্ধান্ত কাপড়ের মালিকের। লেখক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট