শাহাদাৎ হোসেন: উপকূলীয় জেলা বরগুনার তালতলী উপজেলা নদীবেষ্টিত এলাকা হওয়ার কারণে শীত মৌসুমে শীতের তীব্রতা যেন এখানে বেড়ে যায়। শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে একমাত্র ভরসা গরম পোশাক। হাটবাজার গুলোতে গরম কাপড়ের সমারোহ ঘটেছে বিপুল পরিমাণে।
কিন্তু নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষদের জন্য এসব দামি পোশাক কেনা যেন কষ্টকর। তাই বিকল্প বিভিন্ন ভাসানী দোকানের পুরাতন শীতের পোশাক। এসব দোকানে ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা দরের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় ও বিভিন্ন এলাকা থেকে তালতলী সদরে সাপ্তাহিক হাট বাজারকে কেন্দ্র করে প্রতি রবিবার দিন ১৫ থেকে ২০ জন ব্যবসায়ীরা শীতের কাপড় বিক্রি করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার স্কুল রোডের দুইপাশে ভাসানী ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ধরনের শীত নিবারণের গরম কাপড় কম দামে বিক্রি করছেন। অার ক্রেতাদের আগ্রহ যেন একটু বেশি। এ কারণেই নিম্ন ও মধ্যমআয়ের ক্রেতাদের ভিড় বেশি থাকে এসব দোকানে।
নিম্নআয়ের এক ক্রেতা ইসমাইল মিয়া বলেন, মোরা গরিব মানুষ দিন আনি দিন খাই। শীতে নতুন কোর্তা (পোশাক) কিনতে পারি না। তাই পোলা মাইয়া নিয়ে অনেক কষ্টে দিনকাটাই। হেইয়ালইগ্যা ফুটপাতের দোকান থেকে পোলা মাইয়াগো লইগ্যা কিছু জামা কাফুর (কাপর) কিনছি।
রাকিবুল ইসলাম নামের এক পথচারী বলেন, সাপ্তাহিক বাজার প্রতি রবিবার এই দিনে বিভিন্ন ভাসানী দোকানিরা রাস্তার দুই পাশে বসে মালামাল বিক্রি করে। নিম্নআয়ের মানুষ এসব মালামাল উৎসবমুখর পরিবেশে কিনছেন।
স্বেচ্ছাসেবী কর্মী ইমরুল তুহিন বলেন, উপকূলীয় এসব অঞ্চলে শীতের প্রকোপ বেড়ে গেছে। যার কারণে মানুষজন পুরাতন কাপড় কিনতে ভিড় করছে। তাছাড়া স্থানীয় রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধিদের এসব অসহায় মানুষদের পাশে এগিয়ে আসার দাবি জানান তিনি।
তালতলী হাটে পুরাতন কাপড় বিক্রেতা মোস্তফা মিয়া জানান, ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে এ বছর কয়েক টন লট মাল আনা হয়েছে। ভালো বিক্রিও হয়েছে। ক্রেতারা প্রচুর আসছেন। কোনো কোনো লটে অনেক ভালো কাপড় থাকে। সেই ভালো কাপড় খুঁজে নিতে ক্রেতাদের থাকে বাড়তি আগ্রহ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.কাওছার হোসেন বলেন, উপজেলায় এখনও পুরোপুরি শীত শুরু হয়নি। প্রতিবছর সরকার অসহায় দুঃস্থ মানুষের মাঝে কম্বল বিতাড়ন করেন। এ বছর তালিকা তৈরি করে কম্বল বিতাড়ন করা হবে।