ডেস্ক রিপোর্ট: [২] আমেরিকা নিজেই গণতন্ত্র নিয়ে ঝামেলায় আছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডাকা গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়ে বৃহস্পতিবার মন্ত্রী এভাবেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। মানবজমিন
[৩] ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় ভার্চ্যুয়াল ‘সামিট ফর ডেমোক্রেসি’তে দক্ষিণ এশিয়া থেকে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মালদ্বীপ আমন্ত্রণ পেলেও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নাম নেই বাইডেনের আমন্ত্রণ পাওয়া রাষ্ট্রগুলোর তালিকায়। এ নিয়ে সমালোচকরা দেশ-বিদেশে প্রশ্ন তুলছেন। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ক্লাইমেট জাস্টিস অ্যান্ড পিস ইন দ্য কনটেক্সট অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনার শেষে প্রশ্নটি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখোমুখি হয়েছিলেন সাংবাদিকরা।
[৪] জবাবে মন্ত্রী মোমেন বলেন, যেসব দেশ গণতন্ত্রের দিক থেকে দুর্বল হয়তো তাদের সম্মেলনে প্রথম ধাপে আমন্ত্রণ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দু’টি পর্বে সম্মেলন হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য আছে তাতে প্রথমে তারা এমন দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে যারা গণতান্ত্রিক দিক থেকে খুবই দুর্বল।
[৫] দাওয়াত দেয়া না দেয়ার বিষয়টি একান্তই হোস্ট্রের বিষয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এখানে আমাদের কিছুই করার নেই, এটা তাদের দায়-দায়িত্ব। গণতন্ত্র সম্মেলন নিয়ে খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই প্রশ্ন ওঠেছে এমন পাল্টা অভিযোগ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোমেন বলেন, আমেরিকায় আড়াই’শ বছরের পুরোনো গণতন্ত্র। কিন্তু ক’দিন আগে আমরা কি অবস্থা দেখলাম! তারা যে গণতন্ত্র সম্মেলন করছে এটা নিয়ে আমেরিকাতেই প্রশ্ন রয়েছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র অত্যন্ত সুদৃঢ় এবং স্বচ্ছ দাবি করে মন্ত্রী মোমেন বলেন, গত ক’বছর ধরে আমাদের গণতান্ত্রিক অবস্থা স্থিতিশীল (স্টেবল) রয়েছে। এখানে ভোটের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেন। ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ভোট হয়। মানুষ ভোট দিতে পারছে। যে নির্বাচনে দাঁড়াতে চায় সে-ই সুযোগ পাচ্ছে। প্রতিবেশী মিয়ানমার ও আফগানিস্তানের গণতন্ত্র এবং নির্বাচন ব্যবস্থার প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে অনেক লোক ভোটই দিতে পারেনি। আফগানিস্তানেও একই অবস্থা। আমাদের দেশের ভোটাররা ভোট দিতে পারেন। ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। সেদিক থেকে আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অনেক অগ্রসর-এই দাবি করতেই পারি।