মাসুদ আলম: [২] মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফজলুর রহমান বলেন, ডিওবি কেনার জন্য ডার্ক ওয়েবসাইট থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে ২০০ ব্লট (পিস) ডিওবি কেনেন খুলনার যুবক আসিফ আহমেদ শুভ। অর্ডার করার পর ইন্টারন্যাশনাল কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে মাদকের চালানটি সরাসরি তার বাসায় পৌঁছায়। বিমানবন্দরগুলোতে উন্নতমানের স্ক্যানার না থাকায় কুরিয়ারে আসা ডিওবি ধরা পড়েনি।
[৩] তিনি বলেন, ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে অর্ডার করার পর এক মাসের ব্যবধানে এই মাদক শুভর বাসায় কুরিয়ারের মাধ্যমে পৌঁছে যায়। সোমবার মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো উত্তর শুভ, তার বন্ধু অর্ণব কুমার শর্মা ও সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের খুলনা বয়রা বাজার শাখার ম্যানেজার মামুনুর রশীদকেও গ্রেপ্তার করে। শুভর বাসায় এলএসডি পায় আর তার বন্ধু অর্ণববের বাসায় পাওয়া যায় ৯০ ব্লটার ডিওবি।
[৪] তিনি আরও বলেন, পোল্যান্ড থেকে কিনে ডিওবির ব্লটগুলো অর্ণবের বাসায় রাখেন। দুমাস আগে ২০০ ব্লট ডিওবি নিয়ে আসেন। যেগুলো তিনি নিজে সেবন করতেন এবং অন্যান্যদের কাছেও বিক্রি করতেন। নতুন ক্রেতা তৈরি করতে কিছু ব্লট বিনামূল্যেও দিয়েছেন তিনি। মামুনুর রশীদকে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগসাজশে দেশের বিভিন্নপ্রান্তে পার্সেল পাঠাতেন।
[৫] ফজলুর বলেন, গোপনে ক্রেতা সেজে পাঁচ পিস এলএসডির অর্ডার করা হয়। খুলনা থেকে কোনো বাধা ছাড়াই রাজধানী এলিফেন্ট রোড সুন্দরবন শাখায় পার্সেলটি পৌঁছায়। দেশে প্রথমবারের মতো ‘ক’ শ্রেণির ডিওবি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এটা সেবনে তৃতীয় নয়ন খুলে যায় বলে দাবি মাদকসেবীদের।