খালিদ আহমেদ: [২] জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব মো. ফজলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ৪০১ ধারার কোথাও বলা নেই বিদেশে যেতে পারবেন না। মানবিক দিক বিবেচনা করে তাকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যেতে প্রধানমন্ত্রীকে বলার জন্য আইনমন্ত্রীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ৭১ টিভি
[৩] তিনি বলেন, সরকার এটা করলে সারা দেশের মানুষের কাছে একটা নজির সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ৭৭ বছর বয়সের একজন মানুষ হিসেবে তার বিষয়কে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার অনুরোধ করছি।
[৪] সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
[৫] আইনমন্ত্রী বলেন, ৪০১ ধারার এই আলোচনায় যেতে চাইনা। এখানে শর্তযুক্ত এবং শর্তমুক্ত দুটো বিষয় লেখা আছে। খালেদা জিয়াকে যখন মুক্ত করা হয় তখন সেটা মানবিক দিক বিবেচনায় করা হয়েছিলো। মানবিকতা দেখানোর অভাব সরকারের নাই। কিন্তু এখনই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো যাবেনা। কিন্তু কেউ জানে বেঁচে না থাকুক সেটা সরকারের কাম্য নয়। এই স্মারকলিপি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা হবে। যতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা যায় ততটা গুরুত্ব দিয়েই এই বিষয়টা দেখা হবে।
[৬] ফজলুর রহমান স্বাক্ষরিত উক্ত স্মারকলিপিতে বলা হয়, ফৌজদারী কার্যবিধির ৪০১ এর ১ উপধারা অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে দুইটি শর্তে মুক্তি দেয়ার পর তিনি অদ্যাবধি কোন শর্ত ভঙ্গ করেননি। উক্ত ধারামতে সরকার যেকোন সময় শর্তহীনভাবে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে অথবা ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৪০১ এর ৬ উপধারা মোতাবেক বিশেষ আদেশ দ্বারা বেগম জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে আইনগত কোন বাধা নেই। বরং সরকারের এই সিদ্ধনাত আইনানুগ হবে।
[৭] বিএনপির আইনজীবী ফোরামের নেতারা আরও বলেন, দেশের আইনের শাসন, সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণে বেগম খালেদা জিয়ার যুগান্তকারী ভূমিকা বাংলাদেশের আইন অঙ্গনে দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। এই আইনাঙ্গনের মানুষ হিসেবে আমরা মনে করি, তার জীবনরক্ষার্তে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণ অতিব জরুরী হয়ে পড়েছে।
[৮] অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য অ্যাডভোকেট এ যে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভুঁইয়া, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী এবং অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :