সুজন কৈরী: [২] ধামরাই এলাকায় নছর উদ্দিন হত্যা মামলার পলাতক ৩ জন আসামিকে মানিকগঞ্জের সিংগাইর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-গোলাম মোস্তফা, রাশেদ মোল্লা ও নাঈম হোসেন মোল্লা।
[৩] রোববার র্যাব-৪ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১১ নভেম্বর ঢাকার ধামরাইয়ে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ধামরাইয়ের সুয়াপুর ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ড, কুরুঙ্গীর মেম্বার পদপ্রার্থী ছিলেন গোলাম মোস্তফা এবং মিজানুর রহমান। মিজানুরের পক্ষের কর্মী দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে মেম্বার পদপ্রার্থী গোলাম মোস্তফাসহ অন্যান্য গ্রেপ্তারকৃতদের জমি জমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতা ও বিরোধ চলছিলো।
[৪] নির্বাচনর দিন রাতে ভিকটিম নছর উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ারসহ আরও কয়েক জন নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। ওই সময় কুরুঙ্গী মসজিদের পাশের রাস্তায় গ্রেপ্তারকৃতরা সহযোগীসহ পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বাঁশের লাঠি, লোহার রড়, দা ছ্যানা, রামদা চাপাতিসহ দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে নছর উদ্দিনের ছেলে ও তার সঙ্গে থাকা অন্যদের গতিরোধ করে এবং অতর্কিত আক্রমণ করেন।
[৫] দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়িভাবে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করে। মারামারির একপর্যায়ে চিৎকার শুনে ভিকটিম নছর উদ্দিন মোল্লা ঘটনাস্থলে গেলে দুর্বৃত্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বুকে লাথি মারে। এতে নছর উদ্দিন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং মারা যান। পরে ভিকটিমের ছেলে বাদী হয়ে ধামরাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যার পরপরই ঘটনায় জড়িতরা আত্মগোপনে চলে যান। মামলার পর র্যাব-৪ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই প্রেক্ষিতে সিংগাইর পৌরসভা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনা জড়িত ও মামলার আসামি তিন জনকে গ্রেপ্তার করে।
[৬] প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছেন, নছর উদ্দিনের সঙ্গে পূর্বে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিলো। এরই জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের ধামরাই থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :