মাসুদ আলম: [২] শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, মায়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বাবার সঙ্গছাড়া ছিল তিন-বোন। মায়ের মৃত্যুর পর দুই খালার কাছে তারা যেমন ব্যবহার আশা করেছিল, সেটি পায়নি। তাই অসুস্থ বাবার কাছে চলে গিয়েছিল।
[৩] তিনি বলেন, ২০১২ সালে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর তিন বোন মায়ের সঙ্গে থাকতো। পরে ২০১৩ সালে তাদের মা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে বাবা আরেকটি বিয়ে করে যশোরে থাকেন। তখন থেকে তারা দুই খালার কাছে রয়েছে। কিন্তু বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারতো না।
[৪] বিপ্লব কুমার বলেন, দীর্ঘ ৮ থেকে ৯ বছর পর তিন বোন রোকেয়া, জয়নব আরা ও খাদিজা আরা বাবার সঙ্গে দেখা করেছে। তাদের বাবা একজন স্কুলশিক্ষক। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অসুস্থ, বর্তমানে তিনি শয্যাশায়ী। তবে মাঝেমধ্যে দাদীর মোবাইল নম্বরে তিন বোনের কথা হতো। আর বাবার কাছে যশোরে আসার জন্য দাদী তাদের বিকাশের মাধ্যমে ২ হাজার টাকা পাঠায়।
[৫] তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সকালে আদাবরের খালার বাসা থেকে বের হয়ে যশোরের উদ্দেশে রওনা দেয়। বাসা থেকে বের হয়ে তারা গাবতলীতে জননী পরিবহনের একটি বাসে করে যশোর চলে যায়। সেখান থেকে হামিদপুরে তাদের বাবার বাসায় পৌঁছায়। খিলগাঁওয়ে এক খালার কাছে দুই বোন, আরেক খালার কাছে এক বোন থাকত। এসএসসি পরীক্ষার্থী দুই বোনের পরীক্ষাকেন্দ্র ধানমন্ডি গার্লস হাইস্কুল হওয়ায় তারা আদাবরে খালার বাসায় অবস্থান করছিলো ।
[৬] তিনি বলেন, তাদের কাছে কোনো টাকা ও মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। আর তাদের খালার গণমাধ্যমে বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা এখন পর্যন্ত পাওয় যায়নি। তিন বোনের অনেকটাই ক্ষোভ রয়েছে খালাদের ওপর। মেয়ে তিনটির দাদির মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তাদের খোঁজ মেলে। রোববার জয়নব আরা ও খাদিজা আরার এসএসসি পরীক্ষা রয়েছে, তারা পরীক্ষায় অংশ নিতে চায়। রোকেয়া এইচএসসির শিক্ষার্থী।