শিরোনাম
◈ আবারও মে‌সির জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামির জয় ◈ এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩ ◈ স্প‌্যা‌নিশ ক্যাবরেরাই থাক‌ছেন বাংলা‌দেশ ফুটবল দ‌লের কোচ ◈ সন্ধ‌্যায় নেপালের বিরু‌দ্ধে লড়াই‌য়ে নাম‌ছে বাংলা‌দে‌শের মে‌য়েরা ◈ ঢাকায় হবে এশিয়া কাপের সভা, ভারত অংশ নে‌বে না ◈ এবার যে কারণে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেন ড. ফয়জুল হক

প্রকাশিত : ২০ নভেম্বর, ২০২১, ০১:২৩ দুপুর
আপডেট : ২০ নভেম্বর, ২০২১, ০১:২৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] পতিতালয় থেকেও টাকা নিতেন পাকিস্তানের জেনারেল নিয়াজি: আফসান চৌধুরী

আমিরুল ইসলাম: [২] লেখক ও গবেষক আফসান চৌধুরী আরও বলেন, হামিদুর রহমান কমিশনে জেনারেল নিয়াজির বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগের মধ্যে বেআইনীভাবে পান রপ্তানির অভিযোগ ছিলো। সে বলেছিলো, এটার সঙ্গে সে জড়িত নয়। পিআইএকে সে অর্ডার দিয়েছিলো। তার ছেলের মাধ্যমে সে পান রপ্তানি করার চেষ্টা করেছিলো।

[৩] তিনি বলেন, হামিদুর রহমান কমিশন রিপোর্ট হচ্ছে নিয়াজি ও ইয়াহিয়া খানকে খতম করার একটি প্রচেষ্টা এবং এর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যটা খুব পরিষ্কার। সেনাবাহিনীকে বলা হচ্ছে তোমরা অনেক কিছু করেছো কিন্তু দোষটা তোমাদের নয়, দোষটা হচ্ছে নিয়াজি, ইয়াহিয়া ও রহিম খানের। এটাই হচ্ছে মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। এছাড়াও ছোটখাটো নানা অভিযোগ রয়েছে।

[৪] তিনি বলেন, এখানে মজার বিষয়টি যেটি বের হয়েছে সেটা হচ্ছে সেনাবাহিনীর অভ্যাস খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। যখন তারা যুদ্ধ করতে গিয়েছিলো তখন তাদের হাতে রসদ ছিলো না। তারা মানুষের বাড়িঘর লুট করে খাওয়া-দাওয়া করতো। আমাদের ইতিহাসবিদরা এটা বলে না। এখন অনেকে বলে সেনাবাহিনী বড় বড় সম্পদ লুট করেছে।

[৫] আফসান চৌধুরী বলেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীরা কী কারণে যুদ্ধে হারলো সেটার বিবিধ বর্ণনা আছে হামিদুর রহমান কমিশনে। তাদের যে কৌশল ছিলো সেটা ভুল ছিলো। তারা শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করেনি। যে পদ্ধতিতে যুদ্ধ করার কথা ছিলো সেটা করেনি। একটা জায়গায় লেখা আছে, মারা গেলে ইতিহাসে মানুষ নিয়াজিকে মনে রাখতো ঢাকা শহরকে দখল করে আটকে রাখার জন্য। কিন্তু সেটা তারা করেনি।

[৬] সেনাবাহিনীতে নিয়াজির পজিশন কী ছিলো, সেটা নিয়েই বিতর্ক হয়েছিলো। সে কি থিয়েটার কমান্ডার, না কোর কমান্ডার ছিলো। সুতরাং এ থেকে বোঝা যায় যে সেনাবাহিনী খুব অদক্ষ ছিলো।

[৭] আফসান চৌধুরী বলেন, লোকজন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে ভারতকে অপছন্দ করে বলে। তারা খুবই অদক্ষ ছিলো। সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে তাদের যশোর পতনের মধ্য দিয়ে। যশোর পতন তারা আশা করেনি। এছাড়া অন্যান্য বড় বড় যে কেন্দ্রগুলো যে পদক্ষেপ নেবে সেটা নেয়নি।

[৮] পাকিস্তান আর্মি বলছে নিয়াজির উচিত ছিলো সেখান থেকে এসে ঢাকায় যুদ্ধ করা। তার হাতে ৪২৬০০সৈন্য ছিলো। যাদের দ্বারা তারা কয়েক সপ্তাহ যুদ্ধ করতে পারতো।

[৯] তিনি বলেন, নিয়াজির সঙ্গে অনেক নারী বন্ধু ছিলো, এটা লেখা আছে। সেনাবাহিনীর অনেকেই এর সঙ্গে যুক্ত ছিলো। ব্রোথেলের মালিক ও পতিতাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিলো। তারা তার হয়ে ব্যবসার টাকা পর্যন্ত নিতো। অনেকের নামও দেওয়া আছে। নিয়াজির এই বদনাম পাকিস্তানেও ছিলো। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়