শিরোনাম
◈ রাতে বাংলামোটরে জুলাই পদযাত্রার গাড়িতে ককটেল হামলা (ভিডিও) ◈ যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক মোকাবেলায় বাংলাদেশের চার দফা কৌশল ◈ বিআরটিএর মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা ◈ সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশ হার‌লো ৭৭ রা‌নে ◈ ২০ বছরেও অধরা এমআই-৬'র ভেতরের রুশ গুপ্তচর! (ভিডিও) ◈ নারী ফুটবলের এই অর্জন গোটা জাতির জন্য গর্বের: প্রধান উপদেষ্টা ◈ প্রবাসীদের জন্য স্বস্তি: নতুন ব্যাগেজ রুলে মোবাইল ও স্বর্ণ আনার সুবিধা বাড়লো ◈ একযোগে ৩৩ ডেপুটি জেলারকে বদলি ◈ 'মধ্যপ্রাচ্যে সিলেট-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকেরা ঘোষণা দিয়ে মারামারি করে' (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৯ নভেম্বর, ২০২১, ০৪:৪৪ দুপুর
আপডেট : ১৯ নভেম্বর, ২০২১, ০৪:৪৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] মৃৎশিল্পের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে জগন্নাথপুরের নারীরা

নুর উদ্দিন: [২] সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নে হাওরবেষ্টিত গ্রাম কুবাজপুর। গ্রামে বসবাসকারী পাল বংশের অধিবাসীরা বংশপরস্পরায় মৃৎশিল্পের কাজ করে আসছিল। অতীতে মৃৎশিল্পের কাজে জীবিকা নির্বাহ করলেও সময়ের পালাবদলে অনেকেই এ পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। তবে নারীরা এ পেশা কিছুটা হলেও ধরে রেখেছেন। তাদের তৈরি মাটির মৃৎশিল্প যাচ্ছে সুদূর লন্ডনেও।

[৩] কুবাজপুর গ্রামটি পাল সম্প্রদায়ের আদি নিবাস। দুই শতাধিক পরিবারের বসতি থাকলেও এখন আছে মাত্র ৩০ পরিবারের বসবাস। তাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ অন্য পেশায় জড়িত থাকলেও নারীরা মৃৎশিল্পের কাজ করছেন। গ্রামের নারীরা হাড়ি, পাতিল, থালা-বাসন, সানকি, ঘটি, মটকা, মাটির তৈরি ব্যাংক, ফুলের টব, পুতুল, ছাইদানি, কলকি, হুক্কা, খেলনা সামগ্রী বানানোর পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা পার্বণের যাবতীয় বাসনপত্র ও দেব দেবীর প্রতিমা তৈরির কাজ করে থাকেন।

[৫] কুবাজপুর গ্রামের প্রয়াত পুতুল পালের স্ত্রী ৭০ বছর বয়সী সুমতি পাল বলেন, শ্বশুর শ্বাশুড়ির কাছ থেকে মৃৎশিল্পের শেখা কাজ ধরে রাখার চেষ্টা করছি। আমার ছেলের বউয়েরাও আমার কাছ থেকে শিখে কাজ করছেন।

[৬] গৃহবধূ সুচিত্রা পাল বলেন, মাটির তৈরি জিনিস পত্রের কদর এখনো শেষ হয়ে যায় নি। তবে এসব বানাতে আগের মতো এঁটেল মাটি পাওয়া যায় না। মৃৎপাত্র তৈরিতে সময় লাগে এবং ব্যয়ও বাড়ে। বাজারে প্লাস্টিক সামগ্রী কম দামে বিক্রি হওয়ায় আমাদের তৈরি জিনিসপত্রের দাম পাওয়া যায় না।

[৭] সুমন পাল বলেন, পূজা পার্বন ও বাঙালির বিভিন্ন উৎসব ও মেলায় আমাদের তৈরি মৃৎশিল্পের জিনিসপত্র বিক্রি হলেও আগের মতো চাহিদা না থাকায় এসব কাজ শুধু মৌসুমেই করি।

[৮] প্রবীণ মৃৎশিল্পী ধনঞ্জয় পাল বলেন, এখনো সখের বশে লোকজন মাটির তৈরি জিনিস পত্র ক্রয় করেন। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে মৃৎশিল্প কে বাঁচিয়ে রাখা যাবে।

[৯] রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুবাজপুর গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, ৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় পাল সম্প্রদায়ের লোকজন দেশে ছেড়ে চলে যান। বর্তমানে অল্প সংখ্যক লোকের বসতি। তাদের কারণে গ্রামটি এখনো বিখ্যাত। তাদের তৈরি মৃৎশিল্পের কদর এখনো রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়