শিরোনাম
◈ ওসমান হাদি বাংলাদেশের রাজনীতিতে যেভাবে জরুরি হয়ে উঠেছিলেন ◈ সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ ও মেয়রের বাড়িতে আগুন ◈ হাদির হত্যাকাণ্ড রাজনীতিতে ভয়াবহ মোড়ের ইঙ্গিত: আলজাজিরার বিশ্লেষণ ◈ পা‌কিস্তা‌নের কা‌ছে পরা‌জিত হ‌য়ে যুব এ‌শিয়া কা‌পের সেমিফাইনাল থে‌কে বাংলাদেশের বিদায় ◈ বাংলাদেশ ইস্যুতে সংলাপ বজায় রাখার সুপারিশ, হাসিনার রাজনৈতিক ভূমিকা নয়: ভারত ◈ শহীদ ওসমান হাদির জানাজাকে ঘিরে ৭ নির্দেশনা ডিএমপির ◈ গভীর রাতে নদী ও ইটভাটায় চলে প্রশিক্ষণ, চার বিভাগে সক্রিয় শুটার নেটওয়ার্ক ◈ হাদি হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ অব্যাহত, ঢাকায় বিজিবি মোতায়েন, বিদেশি নাগরিকদের বিশেষ সতর্কতা ◈ সুদানে ড্রোন হামলায় শহীদ ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মরদেহ ঢাকায় পৌঁছাবে শনিবার ◈ শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যায় জাতিসংঘের উদ্বেগ, দ্রুত তদন্ত ও ন্যায়বিচারের আহ্বান

প্রকাশিত : ১৯ নভেম্বর, ২০২১, ০৯:১৫ সকাল
আপডেট : ১৯ নভেম্বর, ২০২১, ১০:৫৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যাদের জন্য নবিজীর (সা.) সুপারিশ বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে

ইসলামি ডেস্ক: সৌভাগ্যবান তো তারাই; যাদের জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুপারিশ বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে। এটি সাধারণ কোনো ঘোষণা নয়, স্বয়ং বিশ্বনবি এ সুসংবাদ দিয়েছেন। কিন্তু এ মর্যাদা ও সৌভাগ্য পাওয়ার উপায় কী? এ সম্পর্কে তিনি কী আমলের কথা বলেছেন?

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই বলেছেন আজানের পর দরূদ পড়ে তাঁর ওসিলা কামনা করলেই ওই ব্যক্তির জন্য সুপারিশ বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে। হাদিসে এসেছে-

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনিল আস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন, ‘তোমরা যখন আজান শুনবে, তখন মুয়াজ্জিন যা বলে তোমরাও তার অনুরূপ বলো।

১. এরপর আমার জন্য দরূদ পাঠ করো, কারণ যে ব্যক্তি আমার জন্য একবার দরূদ পাঠ করে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য ১০টি কল্যাণ নাজিল করেন।

২. এরপর তোমরা আমার জন্য আল্লাহর কাছে ওসিলা চাও; ওসিলা হলো জান্নাতের ভেতর এমন একটি স্থান; যা আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে কেবল একজনই পাবে। আর আমার প্রত্যাশা- ‘আমিই হবো সেই ব্যক্তি। যে ব্যক্তি আমার জন্য ওসিলা চায়, তার জন্য (আমার) সুপারিশ বাধ্যতামূলক হয়ে যায়।’ (মুসলিম)

উল্লেখ্য, আজানের পর দরূদ পড়ে যে মোনাজাত করা হয়; তাতেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য ওসিলার প্রার্থনা আছে। ফলে আজানের উত্তর দেওয়ার পর দরূদ পড়ে দোয়া করলেই প্রিয় নবির সুপারিশ বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের করণীয়

১. মুয়াজ্জিনের সঙ্গে সঙ্গে আজানের উত্তর দেওয়া।

২. আজান নবিজী (সা.) প্রতি দরূদ পড়া।

৩. নবিজী (সা.)-এর জন্য ওসিলা কামনায় মোনাজাত করা। আর তাহলো-

اَللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ – وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَة – اتِ مُحَمَّدَانِ الْوَاسِلَةَ وَ الْفَضِيْلَةَ – وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَّحْمُوْدَانِ الَّذِىْ وَعَدْتَه

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা রাব্বা হাজিহিদ দাওয়াতিত তাম্মাহ, ওয়াস-সালাতিল কায়িমাহ, আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাদিলাহ, ওয়াবআছহু মাকামাম মাহমুদানিল্লাজি ওয়া আদ্তাহ।

যারা এ তিনটি কাজ করবে, কেয়ামতের দিন তাদের জন্য প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুপারিশ বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ কাজ তিনটি নিয়মিত যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের উপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন। জাগোনিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়