শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ১৯ নভেম্বর, ২০২১, ০১:১৯ রাত
আপডেট : ১৯ নভেম্বর, ২০২১, ০১:১৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন: কী করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান দ্রত ভালো হয়ে যাবে?

অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন
জর্জিয়া স্টেটের স্টেট ইউনিভার্সিটি ও কলেজের অধ্যাপকদের জন্য নতুন আইন করেছে। এখন থেকে টেনুর পাওয়া অধ্যাপকদের মধ্যে যারা ভালো পারফর্ম করবেন না তাদের চাকরিচ্যুত করা যাবে। এতোদিন আমেরিকাতে টেনুর পেতে জীবন ফানা ফানা হয়ে যেতো। এতো কষ্টের রিওয়ার্ড ছিলো যে একবার টেনুর প্রফেসর হয়ে গেলে ধরা হয় চাকরি পার্মানেন্ট। আমাদের দেশে প্রভাষক পদ থেকেই চাকরি পার্মানেন্টের ব্যবস্থা আছে। আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একবার চাকরি পেয়ে যাওয়ার পর যতো খারাপ পারফর্মই করুক না কেন, তাকে চাকরিচ্যুত করা প্রায় অসম্ভব। আমেরিকায় টেনুরশিপ পজিশন পাওয়ার জন্য অনেক কষ্ট করে। তারপর পদটি পাওয়া মানে যেন পুলসিরাত পার হওয়া। তারপর অনেকেই রিলাক্স মুডে চলে যায়। এইটা আমেরিকার অন্তত একটি স্টেট বুঝতে পেরেছে।

আমেরিকায় একাডেমিয়ার লাইফ অত্যন্ত স্ট্রেসফুল। সেই স্ট্রেসফুল জীবনটা নতুন নিয়মের মাধ্যমে আরও দীর্ঘায়িত হলো। বাংলাদেশে তার সম্পূর্ণ বিপরীত। কোনো স্ট্রেস নেই। ফলে শিক্ষকতা করে আর একই সঙ্গে চুটিয়ে রাজনীতি করে। এমনও শিক্ষক আছে ৬০টি ক্লাসের মধ্যে ১২টি ক্লাস নিয়ে কোর্স শেষ করে ফেলে। স্ট্রেস কমানোর জন্য আমরা যথেষ্ট সৃষ্টিশীল। আমাদের প্রায় প্রত্যেকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের জার্নাল প্রকাশনা চালু করে যাতে তাদের শিক্ষকরা অতি সহজে প্রমোশনের জন্য প্রয়োজনীয় আর্টিকেল প্রকাশ করে আরামছে প্রমোশন পেয়ে বেঁচে যাওয়া সময় চুটিয়ে রাজনীতি কিংবা ধান্দাবাজি করতে পারে। এর বিপরীত কাজ যারা করে তারাই বরং চাপে থাকে। পদার্থবিজ্ঞানের কাজের সংজ্ঞানুসারে চাপ ছাড়া কাজ হয় না। আবার অতি চাপে সৃষ্টিশীল কাজ হয় না। তাই এই দুইয়ের একটি ব্যালেন্স দরকার।

কোনো প্রকার গবেষণা বা ধান্দাবাজি করে যারা ন্যূনতম গবেষণাপত্র নিজ দেশের গার্বেজ জার্নালে প্রকাশ করে তারাই বরং রিওয়ার্ড পান। তারাই ভিসি হবেন, প্রো-ভিসি হবেন, ডিন হবেন। তাহলে বলুন এ দেশের শিক্ষার মান কেমনে ভালো হবে? মাত্র কয়েকটি কাজ করলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মান দ্রæত ভালো হয়ে যাবে। বিশ^বিদ্যালয় থেকে জার্নাল প্রকাশনা বন্ধ করুন অথবা ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর শূন্য এমন জার্নালে আর্টিকেল প্রকাশনা প্রমোশনে ব্যবহার বাতিল করুন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন দেশি বা বিদেশি স্কলারকে ভিসি-প্রোভিসি হিসেবে নিয়োগ দিন। ডিন পদে নির্বাচনী ব্যবস্থা বাতিল করুন। আর কারা ঠিকমতো ক্লাস নেয় না নেয় সেটি মনিটর করুন। ভালো কাজের মূল্যায়ন করুন মন্দ কাজে তিরস্কার করুন। দেখবেন শিক্ষার মান চেলচেলাইয়া দ্রæত ভালো হয়ে যাচ্ছে। কাজগুলো কি খুব কঠিন? মোটেও না। কেবল দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা থাকলেই হবে।
লেখক : শিক্ষক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়