সুজন কৈরী: [২] ইউএনওডিসি’র অর্থায়ন ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের তত্ত্বাবধানে প্রথম ধাপের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার অনলাইনে দুই ঘণ্টা ব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
[৩] কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক ।
[৪] তিনি বলেন, ২১ নভেম্বর দ্বিতীয় ব্যাচে ৩৯ এবং ২৩ নভেম্বর তৃতীয় ব্যাচে ৪২ জন কারা কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মশালায় অংশ নিবেন। এছাড়া দ্বিতীয় ধাপে ৯০ জন মেডিকেল স্টাফকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
[৫] আইজি প্রিজন্স বলেন, কারাবন্দীদের মধ্যে এইচআইভি’র বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো ও এই রোগের লক্ষণ দেখা গেলে করণীয় সম্পর্কে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের জানানো হয়েছে।
[৫] আমাদের এই প্রকল্পটি দীর্ঘদিন ধরে চলছে। এটি চলমান প্রক্রিয়া। এতে বেশ ভাল রেজাল্ট হচ্ছে। কারা কর্মকর্তারা রোগের লক্ষণ দেখলেই বুঝতে পারেন এবং পরবর্তী ফলোআপ চিকিৎসার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
[৬] অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় প্রোগ্রাম সমন্বয়ক (মাদক এবং এইচআইভি/এইডস) মো. আবু তাহের বলেন, কারাগারে এইচআইভি’র ঝুঁকি দেশের যে কোনো জনগোষ্ঠীর তুলনায় বেশি। কারাগারের অভ্যন্তরে এইচআইভি ছড়ানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কারাবন্দী, অনিরাপদ যৌন কার্যকলাপ এবং কারাগারের দুর্বল স্বাস্থ্য পরিষেবার কারণে হয়ে থাকে। প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তিনি ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনকে এবং সহযোগিতার জন্য কারা অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানান।
[৭] ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, বর্তমান সরকারের সক্রিয় পদক্ষেপে কারা ব্যবস্থাপনার ও কারাবন্দীদের মানবিক অবস্থার অনেক উন্নয়ন ঘটেছে। এরই ধারাবাহিকতায় কারাবন্দীদের মাঝে এইচআইভি ও অন্যান্য সংক্রমণ রোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।