মাসুদ আলম: [২] আইএসপিআর জানায়, নভো এয়ার একটি বিমান ঢাকা থেকে ৬৭ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রুসহ গত ১৭ নভেম্বর আনুমানিক ৬টা ৫০ ঘটিকায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। বিমানটি আনুমানিক ৭টা ৪০ ঘটিকায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণের সময় সামনের চাকা আড়াআড়িভাবে রানওয়েতে স্পর্শ করার কারণে চাকাটি ফেটে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
[৩] বিমানটি রানওয়েতে থেমে যাওয়ার কারণে সকল বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এমতাবস্থায়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এর অনুরোধের প্রেক্ষিতে সেনাসদরের নির্দেশনায় কমান্ডার, ২২২ পদাতিক ব্রিগেড এর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল আবেদীন এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দল একই দিন রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। বিমান উদ্ধারের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সৈয়দপুর বিমান বন্দরে মজুদ না থাকায় উদ্ভাবিত উপায়ে ৩ টি রিকভারী যানের সহায়তায় বিমানের সামনের ফেটে যাওয়া চাকার নিচে ট্রলি স্থাপন করা হয়।
[৪] পরবর্তীতে রিকভারী যানের সহায়তায় বিমানটিকে স্বল্প সময়ে রানওয়ে থেকে বের করে বিমান বন্দরের এপ্রোনে নিয়ে আসা হয়। উদ্ধারকারী দলসমূহের নিরলস প্রচেষ্টায় বৃহস্পতিবার বিমানটিকে রানওয়ে থেকে সরিয়ে পুনরায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে বিমান চলাচলের উপযোগী করা হয়। উক্ত উদ্ধার কার্যক্রমে সৈয়দপুর সেনানিবাসে অবস্থানরত আর্মি এভিয়েশনের ব্যক্তিবর্গ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে। অত্যন্ত দ্রুততা এবং পেশাদারীত্বের সাথে বেসামরিক বিমানটি উদ্ধার করার কারণে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং উপস্থিত সকলের সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :