শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ১৮ নভেম্বর, ২০২১, ০২:৫০ দুপুর
আপডেট : ১৮ নভেম্বর, ২০২১, ০২:৫০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] শেরপুরে ইউপি নির্বাচনে বড়বোন নৌকা ও ছোট ভাই বিদ্রোহী প্রার্থী

তপু সরকার: [২] তৃতীয় ধাপে নির্বাচনে শেরপুর নকলা উপজেলায়, পাশাপাশি দুই ইউনিয়ন থেকে নির্বাচন করছেন সহোদর দুই, ভাই বোন। নৌকার প্রতীক নিয়ে ৫ নং বানেশ্বরদী ইউনিয়ন থেকে নির্বাচন করছেন বড় বোন আঞ্জুমান আরা বেগম রুমি, উনি বর্তমানে শেরপুর জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য।

[৩] একই সঙ্গে পার্শবর্তী ৯ নং চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন থেকে নৌকার বিদ্রোহী হয়ে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন কামরুজ্জামান গেন্দু। উনারা উভয়ই বর্তমান সড়ক ও জনপথ বিভাগের সিনিয়র সচিব জনাব নজরুল ইসলাম সাহেবের সহোদর ছোট ভাই বোন।

[৪] খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫নং বানেশ্বর্দীতে ৯টি ওর্য়াডে ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ১৫০ এবং পার্শ্ববর্তী ৯নং চন্দ্রকোনায় ৯টি ওর্য়াডের ১০টি কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ১৯ হাজার ৪০৬ জন। দুটি ইউনিয়নই আওয়ামীলীগের ঘাটি বলে সকলের কাছে পরিচিত। নকলা উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ভেতর বিশেষ করে এই দু’টিতে গত ১৩ বছরে প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে যা চোখে পড়ার মতো।

[৫] স্থানীয় এলাকাবাসী দাবি করেন, শেরপুর নকলা নালিতাবাড়ী আসনের এমপি সাবেক সফল কৃষিমন্ত্রী বাংলার অগ্নিকন্যা বেগম মতিয়া চৌধুরী নকলা ও নালিতাবাড়ী এলাকার উন্নয়নের মডেল রোল হিসেবে গড়ে তুলতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। নকলায় ৯টি ইউনিয়নের মধ্য ৭টি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যানরাই পুনরায় মনোনয়ন পেয়েছেন।

[৬] দুটি ইউনিয়নে নতুন মুখের মধ্যে একটি ৫নং বানেশ্বর্দী ইউনিয়নে, জেলা পরিষদের সদস্য আঞ্জুমান আরা বেগম রুমি, নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন। আবার ৯ নং চন্দ্রকোনা ইউনিয়নে পরপর দু’টি মেয়াদে নির্বাচিত হওয়া বর্তমান চেয়ারম্যান মো. সাজু সাঈদ সিদ্দিকীকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়। তবে উক্ত আঞ্জুমান আরা বেগম এর সহোদর ছোট ভাই কামরুজ্জামান গেন্দু এই ইউনিয়নে নৌকার বিরুদ্ধে আনারস প্রতীকে নির্বাচন করছেন। এর আগেও নির্বাচনেও বর্তমান চেয়ারম্যান সাজুর বিরুদ্ধে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন।

[৭] বানেশ্বর্দী ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী, আঞ্জুমান আরা বেগম রুমি’র সঙ্গে মোঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমরা ভাইকে অনেক বুঝিয়েছি, সে আমাদের কথা শুনছে না। আমরা অপারগ।

[৮] চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের চরমধুয়া এলাকার মোঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, ভোটের মাধ্যমে যেকোনো প্রার্থী বের হয়ে আসুক আপত্তি নাই। কিন্তু কোনো প্রভাবশালী মহলের ইশারায় নির্বাচনে সুষ্ঠ পরিবেশ যেন নষ্ট না হয়। চন্দ্রকোনা বাজারের বাসিন্দা মোঃ বকুল মিয়া (৬৫) বলেন, ইউপি নির্বাচন স্থানীয় সরকারের একটি অংশ। এখানে একই পরিবারের একজন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা স্বপ্ন বাস্তবায়নের কথা বলে নৌকা মনোনয়ন পাবেন। পাশের ইউনিয়নে তারই সহোদর ছোট ভাই নৌকার বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে লড়বেন, এটা সত্যিই বেমানান।

[৯] এ ব্যপারে চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মোখলেছুর রহমান বলেন, আমি একটি নির্বাচনি মিটিংয়ে আছি। কার মিটিংয়ে আছেন জিজ্ঞাসা করতেই তিনি বলেন, সতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের মিটিংএ।

[১০] নৌকার প্রার্থী মোঃ সাজু সাঈদ সিদ্দিকীর বলেন, নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ হলে নৌকার বিজয় নিশ্চিত। নির্বাচন সুষ্ঠ হলে ৯নং চন্দ্রকোনায় বরাবরের মতো নৌকার বিজয় হবে ইনশা আল্লাহ।

[১১] এদিকে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী কামরুজ্জামান গেন্দুর সঙ্গে ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

[১২] জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার বলেন, নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ হবে। কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে অনৈতিক হস্তক্ষেপ না করতে পারে সে বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি। সম্পাদনা: হ্যাপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়