মিনহাজুল আবেদীন: [২] বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন ।
[৩] শেখ হাসিনা বলেন, অনেক উন্নত দেশে আপনি যান, সেখানে খাদ্যের জন্য হাহাকার। সুপার মার্কেট খালি, জিনিস নেই। স্বয়ং লন্ডনের কথা বলছি। আমাদের দেশে কিন্তু সেই হাহাকারটা আপনারা দেখেননি। সেই হাহাকারটা কিন্তু নেই।
[৪] তিনি বলেন, বিদ্যুতের জন্য এক সময় হাহাকার ছিলো, আজকে তো বিদ্যুৎ সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছি। সেই বিদ্যুতে আমাদের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। আমাদের উৎপাদন খরচ আমরা তুলতে পারছি না।
[৫] তেলের দাম সংক্রান্ত প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে সারা বিশ্বেই তেলের দাম বেড়ে গেছে। আমাদের তো তেল কিনে আনতে হয়। আপনারা কী বলতে পারেন আমরা কত টাকা ভর্তুকি দেই বছরে? শুধু ডিজেলের পেছনেই ২৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেই। বিদ্যুৎ এবং আনুসঙ্গিক সবকিছু মিলিয়ে ৫৩ হাজার কোটি টাকা আমরা ভর্তুকি দিয়ে থাকি।
[৬] তিনি আরও বলেন, আমরা কৃষকদের বিদ্যুতে বিশেষ ছাড় দিয়ে থাকি। যে সারের দাম ৯০ টাক ছিলো, সেটি আমরা মাত্র ১৫ থেকে ১৬ টাকায় কৃষকের হাতে পৌঁছে দিচ্ছি। প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের (কৃষকদের) সহায়তা দিচ্ছি। জনগণের প্রতি যে দায়িত্ববোধ, সে সম্পর্কে আমরা সবসময়ই সচেতন। করোনার সময়ে আমরা গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছি। জিনিসপত্রের দাম যেনো নিয়ন্ত্রণে থাকে, তার সব রকম ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি।