জেরিন আহমেদ: [২] বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনা অহরহ ঘটছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, মানবাধিকার ও সামাজিক সংগঠন সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে বরাবরই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। তবে এবার খোদ ভারতে সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবি জোরালো হচ্ছে। ঢাকা টাইমস
[৩] সোমবার কলকাতা প্রেসক্লাবে মানবাধিকার সংগঠন বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের (মাসুম) উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
[৪] বিএসএফের নজরদারি সীমান্ত এলাকায় ১৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করার প্রতিবাদে মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। প্রস্তাব উত্থাপনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে তারা।
[৫] এসময় সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সীমান্তে যেসব মানুষকে বিএসএফ হত্যা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। বিএসএফের কাজ সীমান্ত পাহারা দেওয়া। সীমান্তের ভেতরে ঢুকে নিরীহ সীমান্তবাসীকে হত্যা করা নয়। বিএসএফ যদি সীমান্তের হত্যালীলা বন্ধ না করে, তাহলে রাজ্যে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
[৬] মাসুম’র সম্পাদক কিরীটী রায় বলেন, ‘আমাদের সীমান্ত এলাকায় গরিব মুসলিম এবং দলিত শ্রেণির মানুষের বাস বেশি। আর বিএসএফের শিকার হচ্ছে সেই গরিব সম্প্রদায়ের মানুষ।’ অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা অপর্ণা সেন বলেন, মিলিটারিদের যতটা ক্ষমতা দেওয়ার কথা, তার থেকেও বেশি দেওয়া হচ্ছে। নিউজ ২৪টিভি