শিমুল মাহমুদ, মহসীন কবির: [২] বিএনপি মহাসচিব বলেন, ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার চক্রান্তের অংশ হিসেবে আজকে তিনি অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন। একটা মিথ্যা মামলা সাজিয়ে শুধু মাত্র থাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার প্রথমে কেন্দ্রীয় কারাগারের একটা পরিত্যাক্ত গৃহে অন্তরীন করে রেখেছিলো প্রায় আড়াই বছর। সে সময় তার কোনো চিকিৎসা হয়নি। তখন জনগণের চাপে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হলো এরপর করোনা শুরু হওয়া সময় তারা কিছুটা ভীত হয়ে বাসায় যাওয়ার অনুমতি দিলো।
[৩] মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এরপর তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, চার মাস জীবন-মরন সংগ্রাম করে কিছুটা সুস্থ্য হয়ে বাসায় ফিরে এসেছিলেন। এর কিছুদিন পরেই আবারো অসুস্থ্য হলে তাকে এভার কেয়ার হাসপতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তিনি বাসায় ফিরলেন কিন্তু ৬ দিনের মাথায় আবার হাসপাতালে আসতে হলো।
[৪] বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। অনেক বেশি অসুস্থ। আমি ঠিক আপনাদের বলে বুঝাতে পারবো না। গতকাল প্রথম তিনি সিসিইউ’র বেড থেকে তিনি চেয়ারে এসে বসেছেন। অত্যন্ত দুর্বল অবস্থায় আছেন বলে জানান তিনি।
[৫] নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আজ মঙ্গলবার দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
[৬] মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের ডাক্তাররা ইতিমধ্যে বলেছেন, তার চিকিৎসাটা হলো অনেক ধরনের অসুখের। এ অসুখ গুলোর যদি প্রকৃতঅর্থে সুষ্ঠু চিকিৎসা করতে হয় একটি মাল্টি ডিসিপ্লিনারি অ্যাডভান্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে করতে হবে।
[৭] তিনি বলেন, এ দেশে সে ধরনের মেডিকেল সেন্টার বা হাসপাতাল নেই। এ জন্য বারবার বলা হয়েছে এবং তার পরিবার থেকে আবেদন করা হয়েছে। অন্তত মানবতার স্বার্থে তাকে বাইরে চিকিৎসা করার সুযোগ দেওয়া হোক। আমরা এ বিষয়ে বারবার করে বলেছি। বারবার কথা বলেছি, কিন্তু তাকে সে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
[৮] বিএনপি মহাসচিব বলেন, পত্রিকায় দেখেছি তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে আহবান জানাচ্ছি অবিলম্বে তাকে বাইরে চিকিৎসা করতে দেওয়ার হোক। কারন এই নেত্রী গণতন্ত্রের নেত্রী। তার যদি কিছু হয়ে যায় সমস্ত দায়-দায়িত্ব এ সরকারকে বহন করতে হবে।
[৯] আমরা বলতে চাই আপনাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। আপনারা দয়া করে মানবতার স্বাথে বেগম খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে চিকিৎসার সুযোগ করে দেন। সম্পাদনা: খালিদ আহমেদ