মনিরুল ইসলাম: [২] চট্টগ্রাম বন্দর এলাকা দূষণ করলে তিন বছরের জেল এবং তিন লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল-২০২১’ সংসদে উত্থাপিত হয়েছে।
[৩] সোমবার নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে সেটি পরীক্ষা করে ৫০ দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। ১৯৭৬ সালের চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ বাতিল করে নতুন করতে বিলটি আনা হয়েছে।
[৪] বিদ্যমান আইনে বন্দর এলাকা দূষণের জন্য সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান আছে। প্রস্তাবিত আইনে সেই শাস্তি পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের বিধান অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়েছে।
[৫] খসড়া আইনে বলা হয়েছে, এই আইনের অধীনে কোনও বিধান লঙ্ঘন করলে (যার শাস্তি উল্লেখ নেই এমন ক্ষেত্রে) সর্বোচ্চ ছয় মাসের শাস্তি এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হবে।
[৬] বিলে আরও বলা আছে, বন্দরের ভাড়া ও টোল আদায়ের বিষয়ে তফসিল তৈরি করে সরকারের কাছে অনুমোদন নিতে হবে। তবে ৫ হাজার টাকার কম হলে অনুমোদন নিতে হবে না। বন্দরের উন্নয়ন সম্প্রসারণে একটি তহবিল রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে।
[৭] প্রস্তাবিত আইনে একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি পরিচালনা প্রশাসক বোর্ড রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে চার জন সদস্য রাখা হয়েছে।
[৮] প্রতি দুই মাসে অন্তত একটি বোর্ড সভা করার বিধান খসড়া আইনে রাখা হয়েছে।
[৯] বিলে বলা হয়েছে, বন্দর এলাকায় কোনও জাহাজ বা যান্ত্রিক উপকরণের কারণে বর্জ্য তৈরি হলে তার মালিক বা মাস্টার বা প্রতিনিধিকে তা অপসারণ করতে হবে। অপসারণে সময় সীমা অতিক্রম করলে মাশুল দিতে হবে। বন্দর কর্তৃপক্ষ সেই বর্জ্য অপসারণ করবে। এর জন্য যে খরচ হবে তার দ্বিগুণ দায়ীকে দিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :