চিররঞ্জন সরকার: রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণাকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেছিলেন, ৭২ ঘণ্টা পরে পুলিশ যেন কোনো ধর্ষণ মামলার এজাহার না নেয়। এই মন্তব্যকে আইনমন্ত্রী ‘বেআইনি ও অসাংবিধানিক’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, এ কারণে বিচারক হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালন নিয়ে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সে জন্য প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখবেন।
প্রথম প্রশ্ন হলো, এ জন্য আইনমন্ত্রীকে কেন চিঠি লিখতে হবে? সারাদেশে ব্যাপকভাবে প্রচারিত এ ঘটনা নিয়ে মাননীয় প্রধান বিচারপতির স্বপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিলো নাকি?
আর আইনমন্ত্রী কি প্রধান বিচারপতির কাছে বিচারকের ‘ক্ষমতা খর্ব করার বিষয়ে চিঠি লিখতে পারেন? এটা ‘হস্তক্ষেপ’ হিসেবে বিবেচিত হবে না? দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো, ‘বেআইনি ও অসাংবিধানিক’ মন্তব্যকারী বিচারকও কি পার পেয়ে যাবেন? ‘বিচারপতির বিচার’ কে করবে? এমন ‘বেআইনি ও অসাংবিধানিক’ মন্তব্যকারী বিচারক কি শুধু তিনিই, নাকি আরও আছেন? তাদের ব্যাপারে কী উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে? যারা এই আলোচিত মামলার তদন্তে গাফিলতি করেছেন, সাক্ষী হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছেন, পারিপার্শ্বিক আলামতকে প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাদেরইবা কী হবে? ফেসবুক থেকে