আয়াছ রনি, কক্সবাজার: [২] কক্সবাজার সমু্দ্র সৈকতে কাছে আবারও ডলফিনের ঝাপাঝাপি উপভোগ করেছেন স্থানীয়রা। ডলফিনের এই দুর্লভ একটি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।
[৩] শুক্রবার ও শনিবার (১৩ নভেম্বর) ভোর সকালে কক্সবাজার সৈকতের কাছাকাছি সমুদ্র জলে দেখা মিলেছে এসব ডলফিনের। ভোরের প্রথম সূর্যের আলোয় মজার এই প্রাণীটি ঝাপাঝাপি করে সৈকতের লাবণী থেকে কলাতলী পয়েন্টের সীমানায়।
[৪] স্থানীয়রা জানান, ভোরের কুয়াশা ছেদ করে সূর্য মাত্রই রশ্নি ঢেলেছে সাগরের নীল জলে। এসময় সৈকতে পর্যটকদের আনাগোনা থাকেনা তখনো। এই সময়টাতেই কক্সবাজারের সৈকতের লাবণী থেকে কলাতলী পয়েন্টের সমুদ্রের একটু দুরে দেখা মিলছে ডলফিন পালের। কখনো দু’একটা আবার কখনো কখনো দল বেঁধে সাগর জলে সাঁতার-ডোবা খেলায় মাতে ছিল ডলফিনগুলো।
[৫] শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সকালে ডলফিনের ছুটাছুটির দৃশ্য ধারণ করেন সৈকতের জেটস্কি চালক সোনা মিয়া। ১৩ মিনিট ধরে ডলফিনের সঙ্গে খেলায় মেতেছিলেন তিনি।
[৬] সোনামিয়া জানান, সাগরের সঙ্গে সবসময় যাদের সখ্যতা। লাইফগার্ড কর্মীরা বলছেন, শীত মৌসুমে মাছ চলে আসে সাগরের কিনারায়। তাই ডলফিনও মাছ শিকারে আসে সমুদ্র পাড়ের কাছাকাছি।
[৭] স্থানীয় জেলেদের ভাষ্যমতে, গত বছর লকডাউনে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কিছু ডলফিন খেলা করতে দেখা যায়। এরপর কোথাও উধাও হয়ে যায়। পরে গত দু’দিনের বেশি সময় ধরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ডলফিনের বিচরণ চোখে পড়ে।
[৮] কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু জানান, স্তন্যপায়ী এই প্রাণীটি বহু জাতের হয়। তবে সমুদ্র উপকূলে যা দেখা যায়, তা মূলত শুশুক জাতের ডলফিন। তিনি জানান, ডলফিন মুলত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ পানিতে বিচরণ করে। ফলে স্বচ্ছ পালিতে এসব স্তন্যপায়ী প্রাণী গুলো খেলায় মেতে উঠে।
[৯] বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বায়োলজিক্যাল ওশানোগ্রাফি বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সাঈদ মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘কক্সবাজারের সোনাদিয়া ও মহেশখালী বঙ্গোপসাগর চ্যানেলে দুটি ডলফিন পরিবার দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। একেকটি পরিবারে ১০/১২টির বেশি ডলফিন থাকে। সাগরে মূলত তারা দল বেঁধে চলাফেরা করে। বর্তমানে চ্যানেলগুলোতে প্রতিনিয়ত তাদের দেখা মেলে। যেহেতু তারা নিরিবিলি পছন্দ করে, সেহেতু সাগরের জনমানবহীন নীরবতার সুযোগে সাগরের লাবনী পয়েন্টে চলে এসেছে হয়তো। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :