ভূঁইয়া আশিক রহমান: [২] জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. লেলিন চৌধুরীর মতে, মলনুপিরাভির টিকার বিকল্প নয়, এটি প্রতিষেধক। কারও শরীরে করোনা প্রবেশ করলে ভাইরাসটি দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করতে থাকে। বিভাজিত হয়। যতো দ্রুত বিভাজিত হয়, রোগীর শারীরিক অবস্থা ততো দ্রুত খারাপ হয়ে যায়।
[৩] করোনার এই ক্যাপসুল বংশবৃদ্ধি রোধ করবে। ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বংশবৃদ্ধি রোধ করবে। এতে রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হবে না। হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ ভাগ কমে যাবে। ভ্যাকসিনের মাধ্যমে যদি মানুষের শরীরে এন্টিবিড তৈরি করা যায়, তাহলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই অনেকটাই এগিয়ে যাবো।
[৪] প্রতিটি ক্যাপসুলের দাম ধরা হয়েছে ৫০-৭০ টাকা। একজন মানুষের চিকিৎসার জন্য দিনে ৮টি করে ক্যাপসুল লাগবে। ৫ দিনে ৪০টি। ৫০ করে দাম হলে ৪০টির দাম ২ হাজার টাকা, আর ৭০ টাকা করে হলে ২৮০০ টাকা। এই টাকাটা এফোর্টেবল। সরকারি হাসপাতালে ওষুধটি ভর্তুকি দেওয়া দরকার। যারা ওষুধটি বিক্রি করবেন, তাদের প্রতি কঠোর নির্দেশ থাকা দরকার। চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন ছাড়া যেন ওষুধটি বিক্রি করা না হয়। তা না হলে ওষুধ নিজেই অসুখ তৈরি করে ফেলবে! এটা যেন কঠোরভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।
[৫] প্রতিটি মহানগর, জেলা-উপজেলায় নির্দিষ্ট কিছু দোকানে ওষুধটি সরবরাহ করা হোক। প্রয়োজন ছাড়া ওষুধটি ব্যবহার করা যাবে না। সকলের প্রতি আহ্বান থাকবে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজেরা দোকান থেকে কিনে যেন ওষুধটি না খান।
[৬] একদিকে করোনা প্রতিরোধে টিকা দেওয়া হচ্ছে, অপরদিকে ওষুধ মলনুপিরাভির মানুষের হাতের নাগালে। এই খবরে মানুষের মধ্যে ভীতি কমে আসবে। করোনায় তীব্রভাবে অসুস্থ হওয়ার পরও যদি কাউকে হাসপাতালে ভর্তি হতে না হয়, তাহলে কী দাঁড়ালো? ইতিবাচক খবর নিশ্চয়ই।
[৭] হাসপাতালে ভর্তির সময় জাতীয় অর্থনীতির ওপর যে চাপ পড়ে, সেটি থাকবে না। মৃত্যুর সংখ্যা কমে গেলে মানুষকে স্বস্তি দেবে। সার্বিকভাবে টিকা ও মলনুপিরাভির ক্যাপসুল সহজতর হওয়ায় করোনার বিরুদ্ধে লড়াই শক্তিশালী হবে। করোনায় অসুস্থতা কমে এলে জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে নিজে নিজে ওষুধ খাওয়া শুরু করলে ব্যাপরটির ভিন্ন রূপও দাঁড়াতে পারে! ফলে ওষুধ ব্যবহারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।