মাসুদ আলম: [২] সোমবার সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে মন্দিরে হামলা ও লুটপাতের ঘটনায় রোববার রাতে রাজধানীর ডেমরা, নারায়ণগঞ্জের বন্দর এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
[৩] তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মনির হোসেন ওরফে রুবেল, জাকের হোসেন ওরফে রাব্বি, মো. রিপন এবং নজরুল ইসলাম ওরফে সোহাগ । তাদের কাছ থেকে মন্দিরের লুন্ঠিত পূজার সামগ্রী ৭টি পিতলের তৈরি প্রতিমা/মুর্তি, ৩টি সিদুঁর কৌটা, ২০টি বাতির কৌটা, ২টি দ্রুপতি, ৫টি পঞ্চ বাতির দানি, ২টি হাত ঘন্টা, ১০টি স্ট্যান্ডসহ মুছি বাতি, ১টি কুলা, ৫টি পঞ্চ পাতার পল্লব, ১ টাকা মূল্যের ৫৫০টি বাংলাদেশী মুদ্রার কয়েন, ১১টি গ্লাস, ৫টি বাসন, ৭টি ঘটি, ৪টি ইমিটিশনের গলার হার ও ২টি মালা ও ৬টি ইমিটিশনের হাতের বালা উদ্ধার করা হয়।
[৪] এছাড়া ৬ জোড়া ইমিটিশনের কানের দুল, ১টি ইমিটিশনের চেইন, ১২টি বিভিন্ন রকমের চুল বাঁধার কাঁকড়া, ৬টি নেইল পলিশ, ১ সেট পিতলের অলংকার, ২টি মঙ্গল সূত্র, ১টি আগরবাতি দানি, ১টি পিতলের ডাব, ১টি ওম, ২টি কাসন, ১ সেট আকমন পাত্র, নগদ ৩০৫ টাকা এবং ৪০টি পিতলের তৈরি বিভিন্ন আইটেমের পূজা কার্যে ব্যবহৃত ভাঙ্গা/অসম্পূর্ণ অংশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও মন্দিরে হামলায় অংশগ্রহণের সময় রুবেলের পরিহিত গেঞ্জী ও লুঙ্গী এবং হামলায় ব্যবহƒত সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।
[৫] মঈন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কুমিল্লায় ঘটে যাওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক তথ্য প্রচার করে জনসাধারণের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ অক্টোবর চৌমুহনী এলাকায় কিছু দুষ্কৃতিকারী শ্রী শ্রী রাধামাধব জিউর মন্দিরে হামলা ও লুটতরাজ চালায়।
[৬] তিনি আরও বলেন, রুবেল, রাব্বী এবং রিপন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উস্কানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে প্ররোচিত হয়ে প্রত্যক্ষভাবে হামলায় অংশগ্রহণ করে। হামলা পরবর্তী রুরেল, রাব্বী এবং রিপন ২টি বস্তায় করে মন্দিরের বিভিন্ন পিতলের পূজার সামগ্রীসহ অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। তারা সোহাগের সহযোগিতায় ধাতব আইটেমসমূহ রুপান্তর করে বিক্রির পরিকল্পনা করেছিলো। মন্দিরে মালামাল লুট করার সময় রুবেল এর ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়াতে ভাইরাল হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা বিভিন্ন পেশায় জড়িত। কেউ চালক আবার কেউ বাসের হেলপার। তারা বিভিন্ন সময় ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলো।