শাহীন খন্দকার ও জেরিন আহমেদ: [২] দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৬১০তম দিনে ৪ মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৮৯৫ জন। শনিবার দেশে সর্বনিম্ন মৃত্যুর রেকর্ড ছিলো ১জন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৬২ জেলায় নতুন করে করোনায় মৃত্যু নেই।
[৩] রোববার (০৭ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
[৪] স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৭৮ জনের। দৈনিক শনাক্তের হার এক দশমিক ১৭ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭১ হাজার ১৩ জনে।
[৫] গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৯০ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ৮২৫ জন। একদিনে ১৪ হাজার ৯০৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৫ হাজার ২৩৪টি নমুনা। এপর্যন্ত মোট এককোটি ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৬০০টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৫ শতাংশ। প্রতি ১০০ জনে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৮ শতাংশ।
[৬] গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে তিন জন পুরুষ, এক জন নারী। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন দুই জন এবং চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগে মারা গেছেন একজন করে দুইজন। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ছিল ৯১-১০০ বছরের মধ্যে, দুইজনের বয়স ছিল ৬১-৭০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ছিল ৫১-৬০ বছরের মধ্যে।
[৭] এছাড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় চলতি বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। চলতি বছরের গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
[৮] বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়। এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।