শাহীন খন্দকার: [২] রোববার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় বেশিরভাগ সবজির দাম বেড়েছে।মোহম্মদপুরের কৃষিবাজারে আয়শা (৩৫) বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের অজুহাতে ব্যবসায়িরা ইচ্ছেমত ক্রেতাথেকে হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ। প্রতিটি সবজির দাম বেড়ে গেছে। ব্যতিক্রম নয় মাছ-মুরগির বাজারও।
[৩] আড়ৎদারসহ খুচরা বিক্রেতাদের দাবি জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে পরিবহন ধর্মঘটের কারণে রাজধানীর বাজারে প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। বিশেষ করে শীতের সবজির দামের প্রভাব পড়েছে সবচেয়ে বেশি। কারণ ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ট্রাক মালিকরাও ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়ায় বাজার এখন চড়া।
[৪] রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকার রবিউল ইসলাম বলেন, সাভার ও কলাতিয়া থেকে সবজি এসেছে ভোরে । ঢাকা পর্যন্ত পণ্য আনতে কত দাম পড়লো জানতে চাইলে, বলেন, প্রতিপিচ লাউ ৪২ টাকা দরে কিনে এখন বিক্রি করবেন ৬০ টাকায়। খুচরা বিক্রেতারা বিক্রি করছেন ৭০-১০০ টাকায়।
[৫]সবজি কিনে যখন ক্রেতারা মুদি দোকানে ছুটছেন প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সারতে সেখানেও মিলছে না কোন স্বস্তি। যেটাতেই হাত দেয়, সেটারই দাম আগের চেয়ে বাড়তি। পরিবহন ধর্মঘটে দাম না বাড়লেও, বিশ্ববাজারের চড়া দাম,ডলারের বিপরীতে টাকার দাম কমা আর কন্টেইনারের ভাড়া বাড়ায় সব আমদানি করা পণ্যের দামই চড়া মাস খানেক ধরে।
[৬] খাদ্য পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায়, বিশ্লেষকরা দুষছেন সরকারের বাজার মনিটরিংয়ে ব্যর্থতাকে। তারা বলছেন, করোনায় নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের আয় ব্যাপকভাবে কমেছে। তার ওপর পণ্যমূল্য বৃদ্ধি জীবনযাত্রার মান যেমন কমাবে, তেমনি বাড়িয়ে দেবে গরিব মানুষের সংখ্যাও।
[৭] মোহম্মদপুর কৃষিবাজার সবজি ব্যবসায়ী রহমত বলেন, ধর্মঘটের কারণে ২০ হাজার টাকার সবজির গাড়ী ৩০ হাজার টাকায় সবজি আমদানি করতে হচ্ছে। আমদানির ওপর মুল্যবৃদ্ধি আমাদের।
[৮] এছাড়া অপরিবর্তিত চালের বাজারের কারণ সর্ম্পকে কৃষিবাজার চাউল ব্যবসায়ি রফিকুল ইসলাম বলেন, অগ্রায়হন মাসে নতুন চাল উঠছে । এছাড়া ভারত, বার্মা থেকে চাউল আমদানি হওয়ায় আপাতত চাউলের দাম বাড়ার কোন সম্ভবনা নেই বললেন তিনি।
[৯] অন্যদিকে প্রতিকেজি ভারতীয় টমেটো ১৪০ টাকা আর দেশী টমেটো ১৬০-১৭০ টাকা, শীতের শিম ১২০-১৪০, গাঁজর ১২০-১৪০, গফঁরগাওয়ের গোল বেগুন ১১০০ লম্বা বেগুন ৮০, করলা ৮০, বরবটি ৮০,বাধাকপি ৪০-৫০ ফুলকপি ৫০ ঝিঙা-পটল ৬০-৮০, ঢেঁড়স ৮০-১০০, মুলা ৬০, পেঁপে ৩০-৩৫, শসা ৭০-১০০, কচুর লতি ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচকলার হালি ৪০-৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়।
[১০] বাজারে অপরিবর্তিত আছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজনে দাম বেড়েছে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। বাজারে মুরগির দাম কমলেও দেশী মুরগী বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা। লেয়ার মুরগি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। প্রায় সব সবজি কিনতে গ্রাহককে কেজিতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ১০ থেকে ২০ টাকা ।