মুরতুজা হাসান, ইবি প্রতিনিধি: [২] জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গাজীপুর-৪ আসনের সংসদ-সদস্য ও বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শহীদ তাজউদ্দিন আহমদের কন্যা সিমিন হোসেন রিমি এ কথা বলেন।
[৩] বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) রাতে ‘১৯৭৫ পরবর্তী সাম্প্রদায়িক সহিংসতা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
[৪] নইলে দুর্বত্তরা সেই জায়গা দখল করে সমাজকে নষ্ট করে দিতে পারে। আবেগে যেন তাড়িত না হই। আবেগ হলো স্ফূলিঙ্গ। আমরা স্থায়িত্ব চাই। আমরা এমন একটি সমাজ চাই যে সমাজ আলোকবর্তিকা হবে, স্ফূলিঙ্গের মতো জ্বলে উঠবে না।
[৫] তিনি বলেন, সপরিবারে জাতির পিতার নৃশংস হত্যাকাণ্ড এবং জেলহত্যার সূত্র রচিত হয়েছিলো ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ যেন সফল হতে না পারে, বাংলাদেশ যেন স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ হিসাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। তার জন্য মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে একটি গোষ্ঠী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে থেকে যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করে গেছে তাদের বিচার করা হয়নি। খন্দকার মোশতাক আহমেদ বহাল তবিয়তে রয়ে যান এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেলহত্যার মধ্যদিয়ে ’৭১-এর না-পারার প্রতিশোধ নিতে সক্ষম হন। আলোচনাসভায় দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ জাগানোর জন্য শিক্ষকদেরকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
[৬] ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের সভাপতি অধ্যাপক ড. রুহুল কুদ্দুস মোঃ সালেহ’র সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেছেন ইবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। সূচনা আলোচক হিসেবে বক্তব্যে প্রদান করেন ইবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী।
[৭] অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা জামাল হ্যাপি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।