ইমরুল শাহেদ: করোনা মহামারির কারণে বন্ধ থাকা সিনেমা হল খোলার পর প্রথম ছবি হিসেবে ছবিটি মুক্তি পাবে ১৯ নভেম্বর। ইতোমধ্যে গত ৩০ অক্টোবর ছবিটির টিজার মুক্তি পেয়েছে। টিজারটি ইউটিউবেও পাওয়া যাচ্ছে। তাতে দেখা যায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালাচ্ছে লোকজন। ট্যাংক থেকে গোলা বর্ষণ করা হচ্ছে। মাথার উপরে রয়েছে যুদ্ধ বিমান। ড্রোনের মাধ্যমে নেওয়া ঢাকার চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে।
তবে কোনো সূত্র নিশ্চিত করতে পারেনি যে, পাকিস্তানি শিল্পীরা ঢাকা এসে শুটিং করে গেছেন কিনা। তবে বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর যাবতীয় তাণ্ডব ছবিটিতে স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে পাকিস্তানে ‘অন্যরকম’ একটি ছবি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। পাকিস্তানি শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শুরু হয় মহান মুক্তিযুদ্ধ।
নয় মাস যুদ্ধ এবং বহু ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয় ও স্বাধীনতা। তবে তারও আগে দখলদার পাকিস্তান চালায় ইতিহাসের জঘন্যতম বর্বরতা। শেষ অংশে তাদের বরণ করতে হয়েছিল লজ্জাজনক পরাজয়। নিজেদের কুকর্মই যদি পাকিস্তান তুলে ধরে সেলুলয়েডে - তাহলে কেমন হবে? ছবিটিরে রোমান্স, কমেডি এবং অ্যাকশন সবই আছে।
পরিচালক নাবিল কোরেশী পাকিস্তান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘এই ছবিটি আমার আগের ছবিগুলোর চাইতে ভিন্ন। এটি একটি ইতিহাস নির্ভর চলচ্চিত্র।’ এরি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গল্পের আখ্যান ভাগে স্থান পেয়েছে ‘৫০ বছরের অবিশ্বাসের স্মৃতি এবং অতীত গল্প’। বলা হয়েছে, ছবিটির গল্প পল্লবিত হয়েছে সত্য ঘটনাকে অবলম্বন করে।
নির্মাতা বলেছেন, সিনেমাটি দেখাবে কীভাবে ক্ষমতার বিরুদ্ধে প্রেম বিরাজ করে এবং কীভাবে দেশের তরুণদের সৃজনশীল ধারণাগুলোতে মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে পারে। কিন্তু এতটা না হলেও পাকিস্তানের বাণিজ্যিক ধারার সিনেমায় প্রথমবারের মতো ‘ইতিবাচকভাবে’ তুলে ধরা হচ্ছে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ। এই ছবিটিতে দুটি প্রজন্মকে একসঙ্গে দেখানো হয়েছে। একটি প্রজন্ম যারা বাংলাদেশির বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালিয়েছিল। পাকিস্তানে বাংলাদেশিদের নিয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্ম মিথ্যাচার চালানো হয়েছে। বর্তমান প্রজন্ম আসল সত্যটা জানতে চায়। ছবিটির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন সজল আলি ও বিলাল আব্বাস খান। প্রযোজক ফিজা তার ফিল্মওয়ালা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে ছবিটি মুক্তি দিচ্ছেন।