আমিরুল ইসলাম: [২] বলেছেন ‘জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা। ৩ নভেম্বর সিডনি সময় রাত আটটায় অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ভারপ্রাপ্র সভাপতি ড. খায়রুল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টনের সঞ্চালনায় আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী যুবলীগ অস্ট্রেলিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক নোমান শামীম, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের এমদাদ হক, নাসিম সামাদ, মোহাম্মদ মুনীর হোসেন, আমজাদ খান, নির্মাল্য তালুকদার, ড. কামাল উদ্দিন, এবং অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ মিডিয়া এন্ড প্রেস ক্লাবের সভাপতি রহমতউল্লাহ।
[৩] বক্তারা আরও বলেন, জাতীয় চার নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্ত রাজনৈতিক সহযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তান কারাগারে বন্দী, তখন তাঁর অনুপস্থিতিতে জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান সাফল্যের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন। বিশ্ব ইতিহাস পর্যালোচনা করে এমন প্রবাসী সরকার খুঁজে পাওয়া বিরল যারা মাত্র নয় মাসে একটি যুদ্ধ সফলভাবে পরিচালনা করে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল।
[৪] জাতি আজ শ্রদ্ধার সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে স্মরণ করছে। জেলখানা নিরাপদ জায়গা হলেও ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর অত্যন্ত নির্মমভাবে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। বক্তারা জেলহত্যার বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।