ইমরুল শাহেদ: খ্যাতিমান অভিনেত্রী, প্রযোজক ও সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তাফাকে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির উপ-কমিটির সদস্য করা হয়েছে তাকে। জানা গেছে, দেশের ৪২ জেলার শিল্পকলা একাডেমির কমিটি কেন হচ্ছে না, তা খতিয়ে দেখতে এই উপ-কমিটি গঠন করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এই উপ-কমিটিতেই সদস্য হিসেবে রয়েছেন সুবর্ণা মুস্তাফা। কাজী কেরামত আলীকে আহ্বায়ক করে গঠিত ৩ সদস্যের এই উপ-কমিটিতে আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিলও থাকছেন।
সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই উপ-কমিটি গঠন করা হয়। সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির পূর্ণাঙ্গ কার্যনিবাহী কমিটি গঠনে প্রধান সমস্যা ও এর থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সুবর্ণা মোস্তফা গড়ে উঠেছেন সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে। আশির দশকে তিনি এদেশের অন্যতম একজন দর্শকপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। বিশেষ করে আফজাল হোসেন এবং হুমায়ুন ফরীদির সাথে তার জুটি ব্যাপক দর্শক সমাদর লাভ করে। এছাড়া তিনি হুমায়ূন আহমেদের লেখা কোথাও কেউ নেই ও আজ রবিবার টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন। টেলিভিশন নাটকের পাশাপাশি তিনি ২২ বছর মঞ্চে অভিনয় করেন।
সত্তুর দশকে সুবর্ণা ঢাকা থিয়েটারে নাট্যকার সেলিম আল দীনের নাটক ‘জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন’-এ অভিনয় করেন। ১৯৮০ সালে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী পরিচালিত ঘুড্ডি ছবির মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্র জগতে আসেন। ১৯৮৩ সালে ‘নতুন বউ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ‘নয়নের আলো’ ছবিতে তার অভিনয় সব শ্রেণীর দর্শককে নাড়া দিয়েছিল। সুবর্ণা মোস্তফা অভিনীত অন্যান্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘পালাবি কোথায়’ ও ‘গহীন বালুচর’। তার উইকিপিডিয়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।