মাসুদ আলম: [২] সোমবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ৫টি অস্ত্রসহ অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) স্পেশাল এ্যাকশন গ্রুপ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. হোসেন, লালতন পাংখোয়া, হোসেনের সহযোগী আলী আকবর ও আদিলুর রহমান সুজন। তাদের কাছ থেকে ৩০১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে একে-৪৭ এর গুলি রয়েছে।
[৩] তিনি বলেন, হোসেন বৈধ অস্ত্রের একজন ডিলার। চট্টগ্রামে তার একটি অস্ত্রের দোকান রয়েছে। এ দোকান ব্যবহার করে বৈধ অস্ত্রের ব্যবসার আড়ালে তিনি অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা করতেন। লাল তন পাংখোয়া রাঙ্গামাটি বরকল সীমান্ত দিয়ে ভারতের মিজোরাম থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে অস্ত্র-গুলি নিয়ে এসে বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলসহ ঢাকা ও কক্সবাজার এলাকায় সেগুলো বিক্রয় করতো।
[৪] আসাদুজ্জামান আরও বলেন, লাল তন পাংখোয়া ছাড়াও ঢাকার অস্ত্র ব্যবসায়ী স্বপনসহ বিভিন্ন অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের থেকে অস্ত্র-গুলি কিনে আকবর ও আদিলুরের মাধ্যমে কক্সবাজার এলাকার বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠিসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে সেগুলো চড়া দামে বিক্রি করতেন হোসেন।
[৫] সিটিটিসি প্রধান বলেন, হোসেন বিভিন্ন পুরাতন লাইসেন্স সংগ্রহ করেন। যারা বৈধ অস্ত্র আগে ব্যবহার করতেন এখন মারা গেছেন, আবার কেউ কেউ এই অস্ত্র আর ব্যবহার করেন না- তাদের কাছ থেকে লাইসেন্স সংগ্রহ করতেন। এইসব লাইসেন্স দিয়ে অস্ত্র ক্রয় করে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারকারীদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করতেন।
[৬] সংবাদ সম্মেলনে স্পেশাল এ্যাকশন গ্রুপের ডিসি আবদুল মান্নানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :