শিমুল মাহমুদ: [২] বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি বলেন, পাট কল কারখানা বন্ধ করে শ্রমিকদের শুধু বেকারই করা হয়নি; এতদিন তাদের পরিশ্রমে যে সম্পত্তি করলো, তার বিনিময়ে যে মজুরি তার পাওনা ছিল, সেই মজুরি থেকে তাদের বঞ্চিত করা হলো।
[৩] সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
[৪] মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, কারখানায় উৎপাদন বন্ধ বলে শ্রমিকের বেতন বন্ধ ভালো কথা, তাহলে করপোরেশনের ডাইরেক্টর সাহেব কেন বেতন পান।
[৫] পাটকলে লোকসান হয় সরকারের এই দাবির বিপরীতে তিনি বলেন, ‘তাদের উদ্দেশ্য জনগণের সম্পত্তি ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া। আমরা প্রমাণ করে দেবো, পাটকল লাভজনক ছাড়াও সেখান থেকে প্রচুর আয় করে নতুন নতুন কল কারখানা করা সম্ভব।’
[৬] বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি বলেন, ‘দেশ ৫০ বছর ধরে উল্টা পথে চলছে। যার কিছু নেই তার সম্পদ লুট করা হচ্ছে। দেশের সব মেহনতি মানুষকে আজকে এক হতে হবে। এক হয়ে আবারও মুক্তিযুদ্ধের মতো লড়াই করতে হবে। একটা-দুইটা কল কারখানা নয়, পুরা দেশের মেহনতি মানুষ রাজত্ব কায়েম করে সেটা গরিব মানুষের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসবে।’
[৭] শ্রমিক সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওর্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকসহ অনেকে।
আপনার মতামত লিখুন :