নিউজ ডেস্ক: ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মসজিদে আগুন, নারীর শ্লীলতাহানি, বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব নুরুল ইসলাম। আজ রোববার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে হেফাজতের মহাসচিব বলেন, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে উগ্রবাদীরা কয়েক দিন ধরে মুসলিমদের ওপর লাগাতার হামলা ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের হামলা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না পবিত্র মসজিদও।
বিবৃতিতে বলা হয়, উগ্রবাদীরা গত কয়েক দিনে ১৬টি মসজিদে কমপক্ষে ২৭টি হামলা চালিয়েছে। ৩টি মসজিদে আগুন দিয়েছে। এ ছাড়া তারা মুসলিমদের বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর করেছে এবং মুসলিম নারীদের শ্লীলতাহানি করেছে।
এত কিছুর পরও কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি–শাসিত ত্রিপুরা রাজ্যের প্রশাসন নিষ্ক্রিয় রয়েছে। একের পর এক হামলার ঘটনার পরও সংখ্যালঘু মুসলিমদের রক্ষায় চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো।
বিবৃতিতে নুরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কোনোরকম ছোটখাটো হামলা হলেও ভারতের রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সরকার পর্যন্ত উঠেপড়ে লাগে। কিন্তু নিজ দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর এভাবে লাগাতার নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও এসব দমনে কোনো ভূমিকা রাখছে না। তিনি বলেন, ভারত সরকারকে অবিলম্বে মুসলিমদের ওপর হামলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
হেফাজতের মহাসচিব জাতিসংঘ, ওআইসিসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে ভারতের নির্যাতিত মুসলিম জনগোষ্ঠীর পক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। - প্রথম আলো
আপনার মতামত লিখুন :