শওগাত আলী সাগর: অবশেষে জাস্টিন ট্রুডোও বুঝতে পারলেন China is too big a player to withdraw engagement entirely. চায়নাকে অস্বীকার তো দূরের কথা, উপেক্ষাও করা যায় না। জাস্টিন ট্রুডো সরকারি সফরে এখন নেদারল্যান্ড রয়েছেন। ইতালিতে জি-২০ সম্মেলন শেষে যুক্তরাজ্যে গøাসগোয় বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে যোগ দেবেন। নেদারল্যান্ডে সেখানকার সিনেট এবং সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বক্তৃতা করছিলেন। চীনের সঙ্গে কানাডার সম্পর্কের বড় ধরনের টানাপড়েন চলছে গত কয়েক বছর ধরেই। অধিকাংশ নাগরিকই মনে করেন, এই টানাপড়েনটা কানাডা এড়াতে পারতো এবং ট্রুডোর বিচক্ষণতার অভাবের কারণেই চীনের সঙ্গে কানাডার সম্পর্ক শীতল হয়েছে। তবে জাস্টিন ট্রুডোর এই বক্তব্য চীন সম্পর্কে কানাডার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন বলে মনে হচ্ছে। জাস্টিন ট্রুডো বলছেন, ‘We cannot pretend that China isn't there, just cross our arms and ignore it,It is too important a player in our economies right now’ পশ্চিমের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় রাষ্ট্র বিজ্ঞানীরা যখন ‘ইন্দো প্যাসিফিক থিওরি’ নিয়ে গবেষণায় ব্যস্ত তখন জাস্টিন ট্রুডোর অনুভ‚তি হচ্ছে- চীনের কোনো অস্তিত্বই নেই- এমন একটা ভাব আমরা চাইলেই করতে পারি না।
[২] তথ্যের অবাধ প্রবাহ ব্যাহত হলে গুজবের জন্ম হয়Ñ এই কথাটা আমরা হরহামেশাই বলে থাকি। এই কথাটা বলার সময় অবশ্যই আমাদের বিবেচনায় বিশেষ কোনো দেশ বা জনপদ থাকে। কিন্তু কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলছেন, গুজব এবং উগ্রবাদ ‘বিশ্ব অর্থনীতি এবং গণতন্ত্রে’র জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাহলে কি বিশ্বজুড়েই এখন গুজব শক্তিশালী হয়ে ওঠেছে কিংবা ওঠছে। জি-২০ এবং বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে যোগ দিতে রাষ্ট্রীয় সফরে থাকা জাস্টিন ট্রুডো নেদারল্যান্ডসের পার্লামেন্টে সেখানকার আইন প্রণেতাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তৃতায় এই কথাগুলো বলেন। জাস্টিন ট্রুডো তার নিজ দেশে ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের আইনি কাঠামোর উদ্যোগ নিয়েছেন। এখন তিনি গুজব এবং উগ্রবাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু করলেন।
জাস্টিন ট্রুডো অবশ্য একটা জিনিস পরিষ্কার করেছেন। তিনি বলেছেন, কেবল যে ষড়যন্ত্র তত্তে¡র প্রচারক কিংবা ক্ষুদ্র প্রান্তিক জনগোষ্ঠীই যে গুজব বা উগ্রবাদ ছড়ায়- তা কিন্তু নয়,রাষ্ট্র মানে রাষ্ট্রের পরিচালনায় যারা থাকেন- তারাও গুজব ছড়াতে পারেন ‘জনগণকে একত্রিত করতে পারে- এমন তথ্য সম্পর্কে জনমনে অবিশ্বাস তৈরি করতে রাষ্ট্রযন্ত্র নিজেই বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার এবং সাইবার যুদ্ধ পরিচালনা করতে পারে। এর মাধ্যমে রাষ্ট্র নিজেও আমাদের অর্থনীতি, আমাদের গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সরাসরি নাম উল্লেখ না করলেও ট্রুডো রাষ্ট্রের গুজব ছড়ানোর কথা বলে তিনি আসলে চায়নার প্রতি ঈঙ্গিত করছিলেন। কিন্তু চায়নার বাইরেও কি ‘গুজববাজ’ রাষ্ট্র কিংবা রাজনীতিক কম আছে। লেখক: কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক