আকবর হোসেন: [২] শ্যামনগরে জমা জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে ৪ জন মারাত্মক হয়েছে। আহতরা হলেন-মঠবাড়ী গ্রামের গোলাম গাজীর ছেলে মহাসীন গাজী (৪৫) মনিরুল গাজী(৩৫) মহাতাব গাজীর স্ত্রী মাহমুদা খাতুন (৩৫) ও মনিরুল গাজীর স্ত্রী আমেনা বেগম(২৮)।
[৩] এ ঘটনায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের মঠবাড়ী গ্রামের মো. গোলাম গাজীর ছেলে মহাসীন গাজী বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে শ্যামনগর থানায় এজাহার দাখিল করেছেন।আসামিরা হলেন, মঠবাড়ী গ্রামের সোনাউল্যাহ গাজীর ছেলে আমির আলী (৪৭) এরশাদ গাজীর ছেলে আব্দুল হক(২৫),হায়দার আলী(৩২),মৃত সোনাউল্যাহ গাজীর ছেলে এরশাদ গাজী(৫৫), আমির গাজীর মেয়ে মোছা. আকিয়া সুলতানা-বৃষ্টি(২২),স্ত্রী মোছা. আকলিমা বেগম(৩৫), এরশাদ গাজীর স্ত্রী মোছা. হালিমা খাতুন(৫৪)।
[৪] এজাহার সূত্রে প্রকাশ, উল্লেখিত আসামিগন অতীব দুদস্ত দুধর্ষ, ভূমিদস্যু, লাঠিয়াল বাহিনী সন্ত্রাসী প্রকৃতির এক দলীয় লোক। আসামিগনের সহিত গৌরিপুর মঠবাড়ী মৌজায় আমার ক্রয় কৃত দখলীয় মৎস্য জমি - জমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতা রয়েছে। উক্ত সম্পত্তির মধ্যে আসামিপক্ষের কিছু সম্পত্তি রয়েছে মর্মে দাবী করে তারা সম্পূর্ন নিছক গায়ের জোরে অন্যায় ভাবে জবর দখলের চেষ্টায় লিপ্ত থেকে আমাদের কে দখলচ্যুৎ করার জন্য তারা বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। এই নিয়ে বলতে গেলে প্রায় সময় আসামিগন কারনে অকারনে ঝগড়া বিবাদ করে আমাকেসহ আমার পরিবার কে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ মারধর করে থাকে।
[৫] এর ধারাবাহিকতায় শনিবার ৩০ অক্টোবর সকাল অনুমান ৭.৩০ মিনিটে ধারালো দা, লোহার রড, জিআই পাইপ, শাবল ও বাশেঁর লাঠি নিয়ে আসামিগন আমার বাড়ীর পশ্চিমে পাশে জমিতে জনতাবদ্ধ হয়ে আমার দখলীয় সম্পত্তিতে অন্যায় অনাধিকার প্রবেশ করে জোর পূর্বক দখল করে ভেড়ী বাধ দিতে থাকে। তখন আমি কাজে বাধা প্রদান করলে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তখন কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আমাকে বাশেঁর লাঠি দ্বারা এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভন্ন স্থানে নীলা ফোলা জখম করে।
[৬] তখন আমার আপন ভাই মনিরুল ইসলাম (৩৫) আমাকে ঠেকানোর জন্য ছুটে আসলে আমার ভাই কে হত্যার উদ্দেশ্য জিআই পাইপ দা দ্বারা আমার ভাইয়ের মাথায় আঘাত করে।
[৭] অতপর আমাদের ডাকচিৎকারে এলকাবাসী আমার আই মনিরুল, মনিরুলরে স্ত্রী আমেনা ও আমায় ভাবি মাহমুদা খাতুন কে মারাত্নক জখম অবস্থায় উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্যা কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে
[৮] এবিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াহেদ মূর্শেদ জানান, আমি এজাহার পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে অব্যহত রয়েছে
আপনার মতামত লিখুন :