সালেহ্ বিপ্লব: [২] জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা আজ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মানবাধিকার কাউন্সিলের রিপোর্টের উপর অনুষ্ঠিত এক সাধারণ বিতর্কে একথা বলেন। বাসস
[৩] তিনি বলেন, এ প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন দেখা যায় জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থাপনাসমূহের সাথে আমাদের বিদ্যমান নিবিড় সম্পৃক্ততার মাধ্যমে।
[৪] রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে সর্বোচ্চ প্রাধিকারভূক্ত এজেন্ডায় রাখা এবং কাউন্সিলের ৪৭তম সেশনে সর্বসম্মতিক্রমে এ বিষয়ক একটি রেজুলেশন গ্রহণ করার জন্য মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। মিয়ানমারে নিযুক্ত বিশেষ র্যাপোটিয়ার ও স্বাধীন তদন্ত ব্যবস্থার কাজ এবং ভূমিকারও প্রশংসা করেন তিনি।
[৫] রাষ্ট্রদূত ফাতিমা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বপ্রণোদিত ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করা এবং মিয়ানমারে তাদের নিজভূমিকে বৈষম্য ও নিপীড়নমুক্ত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসমূহ অব্যাহত রাখতে কাউন্সিলের প্রতি আহ্বান জানান।
[৬] উন্নয়নশীল দেশসমূহ কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনে ন্যায়সঙ্গত ও সময়োপযোগী প্রবেশাধিকার পাচ্ছেনা বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। এ প্রসঙ্গে অভিবাসীদের প্রতি সব ধরণের বৈষম্য বিলোপ ও তাদের কোভিড ভ্যাক্সিনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার উপর জোর দেন তিনি।
[৭] রাষ্ট্রদূত ফাতিমা জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবাধিকার সংক্রান্ত রেজুলেশন গ্রহণকে স্বাগত জানান। তিনি জলবায়ুজনিত বাস্তুচ্যুতির দিকে বাড়তি মনোযোগ দিতে কাউন্সিলের প্রতি আহ্বান জানান যা বাংলাদেশসহ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়।
[৮] নারী ও শিশুদের উপর কোভিডের অসাঞ্জস্যপূর্ণ প্রভাবের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, “আমরা উদ্বিগ্ন যে অনেক উন্নয়নশীল দেশে স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে ঝরে পড়ার হার বেড়েছে এবং মেয়েরা বাল্যবিয়ে, সহিংসতা ও নির্যাতনের উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে”।
[৯] তিনি অতিমারির প্রভাব মোকাবিলা করে লিঙ্গসমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের অগ্রগতি সাধনে নতুন করে মনোযোগ দেয়ার জন্য কাউন্সিলের প্রতি আহ্বান জানান।
[১০] জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মানবাধিকার কাউন্সিলের সভাপতি রাষ্ট্রদূত নাজহাত শামীম খান এ রিপোর্ট উপস্থাপন করেন।