শিমুল মাহমুদ: [২] দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে নয়াপল্টন থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত মিছিলের ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশের অনুমতি না মিলায় দলে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ৩০ মিনিটের সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে দলটি। সমাবেশে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগের দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর।
[৩] মিছিলে অংশ নিতে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা নয়াপল্টন এলাকায় অবস্থান নিতে শুরু করেন। বেলা ১১টায় বিএনপি অফিসের সামনে ছোট একটি ট্রাকে শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা হচ্ছে না।
[৪] সমাবেশ থেকে সরকারকে পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানানো হয়।
[৫] মির্জা ফখরুল বলেন, সংখ্যালঘুদের যে ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ চাই, যারা খুন হয়েছে তার বিচার চাই। আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ হাজার বছর এখানে একসঙ্গে বসবাস করছে।
[৬] বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। আমরা এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না। আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় করে নির্বাচন দিতে বাধ্য করব।
[৭] নেতাকর্মীদের রাজপথে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সময় সুযোগ পাবেন না, আপনারা প্রস্তুত থাকুন, যে কোনো সময় আন্দোলনের ডাক আসবে, আজকের মতো সবাইকে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
[৮] আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির একমাত্র পথ আন্দোলন-সংগ্রাম, এ ছাড়া আর কোনো পথ নেই। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব