ইমদাদুল হক: হাইকোর্টের নির্দেশে সাভারের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাভার মডেল কলেজে প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা তৌহিদ হোসেনকে দায়িত্বে পুনর্বহাল করা হয়েছে।
[৩] সোমবার (২৫ অক্টোবর) ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি শিক্ষা বোর্ডের দেয়া একটি নির্দেশনার ওপর স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট। আদালতের এমন আদেশের পর কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে তৌহিদ হোসেন পুনরায় তার স্বীয় দায়িত্ব ফিরে পেলেন।
[৪] শিক্ষকরা জানান, একটি স্বার্থান্বেষী মহল গত কয়েক বছর ধরে কলেজের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কলেজের অধ্যক্ষ তৌহিদ হোসেনকে তার দায়িত্ব থেকে অপসারণের জন্য শিক্ষা বোর্ডের কাছে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করতে থাকে চক্রটি। ভুল তথ্য দিয়ে শিক্ষাবোর্ড থেকে আনীত একটি নির্দেশনার মাধ্যমে কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে জোরপূর্বক সরিয়ে দেওয়া হয় তৌহিদ হোসেনকে। এর প্রতিবাদ করতে চাইলে কলেজের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক প্রতিষ্ঠানটি দখলের চেষ্টা করে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল।
[৫] এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে প্রতিষ্ঠানটির স্বার্থ রক্ষায় উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন অধ্যক্ষ তৌহিদ হোসেন। বিভিন্ন বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন ও শুনানির পর দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্বে থাকা তৌহিদ হোসেনকে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পুনর্বহাল রেখে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনার ওপর স্থগিতাদেশ দেন আদালত। আদালত থেকে এমন নির্দেশনা পাওয়ার পর সোমবার রাতে সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জরুল আলম রাজীবের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় প্রতিষ্ঠানটির স্বার্থ রক্ষায় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
[৬] শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রতিষ্ঠানটিতে পুনরায় দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তৌহিদ হোসেনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিরাজুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক রাশেদুল ইসলাম, বাণিজ্যিক ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক ও সাভার পৌর কৃষকলীগের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান জিম সহ জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা।
[৭] এদিকে আদালতের নির্দেশে অধ্যক্ষের দায়িত্বে পুনর্বহালের পর তৌহিদ হোসেনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দিতে দেখা যায় ছাত্র-ছাত্রীদের। প্রতিষ্ঠানটি দখলে নিতে প্রভাবশালী মহলের একের পর এক প্রতিটি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে শিক্ষার্থীরা ছিলেন বেশ সরব।
[৮] উল্লেখ্য, গত শনিবার কলেজের অধ্যক্ষকে জোরপূর্বক দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার পর থেকে এর প্রতিবাদে যতটা সোচ্চার ছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা, আবার সাময়িক সময়ে দায়িত্ব গ্রহণ করা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সমালোচনায় ততটাই ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় তাদের। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই ফেসবুকে চলছিল তীব্র আলোচনা-সমালোচনা। সম্পাদনা: হ্যাপি