খালিদ আহমেদ: [২] যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া ও বহিষ্কৃত কমিশনার মোমিনুল হক সাঈদসহ অর্থপাচার মামলায় জারি করা রুলের জবাব আট মাসেও না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।
[৩] ক্ষুব্ধ উচ্চ আদালত বলেছে, ‘শুধু আসলাম আর গেলাম, তা হবে না। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কিছু একটা করতে হবে।’
[৪] বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এসব কথা বলে।
[৫] যুবলীগের বহিষ্কৃত দুই নেতা ও বহিষ্কৃত কমিশনারের বিরুদ্ধে গত ১৭ অক্টোবর প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে আদালতে রোববার শুনানি হয়।
[৬] শুনানির সময় বাকি ১৩ বিবাদী জবাব না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে হাইকোর্ট।
[৭] ওই সময় আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশে বলে, ‘কেন আদালতের আদেশ প্রতিপালন করা হয়নি? শুধু পুলিশ আদেশ প্রতিপালন করেছে। বাকিরা কোথায়? আমরা মামলাটি শুনানির দিন ঠিক করব। এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
[৮] বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘আমরা সবাই ঘুমাইয়া পড়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।এটা নিয়ে শুধু সরকার করবে, তা তো নয়। সরকারকে সহযোগিতা করার দায়িত্ব আমাদের।’
[৯] পরে আদালত অর্থসচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বাণিজ্যসচিব, পররাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান, যৌথ মূলধনি কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের রেজিস্ট্রারকে আগামী ২১ নভেম্বর জবাব জমা দেয়ার দিন ঠিক করে দেয়।
[১০] আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আপনার মতামত লিখুন :