শিরোনাম
◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি ◈ গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন: ভোলায় নাহিদ ইসলাম  ◈ গৌরনদীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলি আদেশ ঘিরে অবরোধ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

প্রকাশিত : ২৪ অক্টোবর, ২০২১, ০১:২৩ রাত
আপডেট : ২৪ অক্টোবর, ২০২১, ১১:৩৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] উখিয়ায় ৬ রোহিঙ্গা হত্যার ঘটনায় অবশেষে মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার ১০

মারুফ হাসান, আয়াছ রনি: [২] কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ৬ রোহিঙ্গা হত্যার ঘটনায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

[৩] এ মামলায় এজাহারনামীয় ৫ জনসহ ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছেন ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।

[৪] রোববার (২৪ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৮ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কামরান হোসেন।
[৫]  তিনি জানান, শুক্রবার (২২ অক্টোবর) ভোর রাত ৪টায় ক্যাম্প-১৮ এর এইস-৫২ ব্লক অবস্থিত ‘দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল ইসলামিয়াহ’ মাদরাসায় অবস্থানরত ছাত্র-শিক্ষকের ওপর দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালায়। এ হামলায় ৬ জন নিহত হন। উক্ত ঘটনায় নিহত আজিজুল হকের বাবা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ২৫ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০০/২৫০ জনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

[৬] তিনি আরও জানান, ঘটনার খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্য ক্যাম্প ১১ এর আবুল কালামের ছেলে মুজিবুর রহমানকে দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটারগান ও ৬ রাউন্ড তাজা গুলিসহ গ্রেপ্তার করা হয়।  সাঁড়াশি অভিযানে চালিয়ে এজাহারনামীয় ৫ জনসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। মুজিবুরের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে উখিয়া থানায় মামলা করে।
[৭] গ্রেপ্তার বাকি ৯ আসামিরা হলেন- ক্যাম্প-৮  দিলদার মাবুদ ওরফে পারভেজ (৩২), মোহাম্মদ আয়ুব (৩৭), ক্যাম্প ৯ এর ফেরদৌস আমিন (৪০), আব্দুল মজিদ (২৪), ক্যাম্প ১৩ এর মোহাম্মদ আমিন (৩৫), মোহাম্মদ ইউনুস ওরফে ফয়েজ (২৫), ক্যাম্প ১২ এর জাফর আলম (৪৫), ক্যাম্প ১০ এর মোহাম্মদ জাহিদ (৪০)  মোহাম্মদ আমিন (৪৮)।
[৮] নিহতরা হলেন- রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১২, ব্লক-জে-৫ এর বাসিন্দা হাফেজ ও মাদরাসা শিক্ষক মো. ইদ্রীস (৩২), ক্যাম্প-৯ ব্লক-১৯ এর মৃত মুফতি হাবিবুল্লাহর ছেলে ইব্রাহীম হোসেন (২৪), ক্যাম্প-১৮, ব্লক-এইচ -৫২ এর নুরুল ইসলামের ছেলে মাদ্রাসার ছাত্র আজিজুল হক (২২), একই ক্যাম্পের ভলান্টিয়ার আবুল হোসেনের ছেলে মো. আমীন (৩২)। এছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ‘এফডিএমএন’ ক্যাম্প-১৮, ব্লক-এফ-২২ এর মোহাম্মদ নবীর ছেলে মাদ্রাসা শিক্ষক নূর আলম ওরফে হালিম (৪৫), এফডিএমএন ক্যাম্প-২৪এর রহিম উল্লাহর ছেলে মাদরাসা শিক্ষক হামিদুল্লাহ।

[৬] রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এপিবিএন এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার শিহাব কায়সার জানান, উক্ত ঘটনা জানতে পেরে ময়নারঘোনা পুলিশ ক্যাম্প-১২ এর পুলিশ সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধারের পর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়। হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুই জন মারা যায়। এসময় পুলিশ হামলাকারীদের একজনকে একটি দেশীয় লোডেড ওয়ান শুটারগান, ছয় রাউন্ড গুলি ও একটি ছুরিসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় ময়নারঘোনা পুলিশ ক্যাম্প-১২ এর পুলিশ সদস্যরা 'মদুতুল উম্মা' মাদরাসা ও আশপাশের এলাকায় ব্লকরেইড পরিচালনা করে আসছে এবং অন্যান্য ক্যাম্প এলাকায়ও একই সাথে ব্লক রেইড পরিচালনা করা হচ্ছে। সম্পাদনা: হ্যাপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়