সুজিৎ নন্দী: [২] ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, অপরিকল্পিত ঢাকার অধিকাংশ ভবনেই কার্যকর সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল না থাকায় অপরিশোধিত পয়ঃবর্জ্য সরাসরি ড্রেন কিংবা খালে পতিত হওয়ায় জলাশয়ের পানিসহ সার্বিক পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
[৩] মেয়র বলেন, নগরীর বাসাবাড়িগুলোতে আধুনিক সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল স্থাপন করতে হবে এবং পরিশোধন ব্যবস্থা সচল রাখতে হবে।
[৪] তিনি বলেন, ডেভলাপার কোম্পানীগুলোকেও বিল্ডিং ডেভলাপ করার পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্যও কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় ডিএনসিসি এলাকায় খালগুলোর সীমানা নির্ধারণ করা হবে।
[৫] শনিবার মোহাম্মদপুর এলাকায় ‘দশটায় দশ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার’ স্লোাগান বাস্তবায়ন এবং রামচন্দ্রপুর খাল পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনকালে তিনি একথা বলেন।
[৬] ডিএনসিসি মেয়র বলেন, খালটির দুই পাড়ের বেশ কয়েকটি ভবন পরিদর্শনকালে সেগুলোর কোনটিতেই সেপটিক ট্যাংক কিংবা সোক ওয়েল খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই সেপটিক ট্যাংকবিহীন ভবনগুলোতে আগামী ৬ মাসের মধ্যে কার্যকর সেপটিক ট্যাংক নিশ্চিত করতে না পারলে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
[৭] তিনি বলেন, খাল কোন ডাস্টবিন নয়, ময়লা-আবর্জনা, বর্জ্য নিক্ষেপের স্থানও নয়, এটি জলাধার। তাই কোন সচেতন নাগরিক খাল কিংবা অন্য কোন জলাশয়ে বর্জ্য নিক্ষেপ করতে পারে না।
[৮] ডিএনসিসি মেয়র বলেন, অবৈধভাবে খাল দখল করে যেসব স্থাপনা নির্মিত হয়েছে সেগুলো ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে, বিনা নোটিশেই অবৈধ দখলদারদেরকে উচ্ছেদ করা হবে। তার উপস্থিতিতেই মোহাম্মদপুর এলাকায় মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেডের ৩ নম্বর রোডে রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে নির্মিত নকশা বহির্ভূত ভবনের অংশবিশেষ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়ে রাস্তা থেকে উচ্ছেদ করা হয়।
[৯] তিনি বলেন, সবাই মিলে সবার ঢাকাকে দখল ও দূষণমুক্ত করে সবার বাসযোগ্য সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকায় পরিণত করতে হবে।
[১০] অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডোর এস. এম. শরীফ উল ইসলাম, স্থানীয় কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।