তপু সরকার: [২] শেরপুর সদরে আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ছিল গত বৃহস্পতিবার। বাছাইকালে উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আলীসহ তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
[৩] মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ আলী বাজিতখিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়াও কামারিয়া ইউপি নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নূরে আলম সিদ্দিকী ও গাজীরখামার ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী খলিলুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
[৪] ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় কামারিয়া ইউপির স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নূরে আলম সিদ্দিকী এবং ঋণখেলাপি হওয়ায় গাজীরখামার ইউপির স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী খলিলুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
[৫] বাজিতখিলা ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. চান মিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আলীর মনোনয়নপত্রে দলীয় প্রধানের স্বাক্ষর ছিল না। এ কারণে বাছাইয়ে তাঁর (মোহাম্মদ আলী) মনোনয়পত্রটি বাতিল করা হয়েছে। তবে তিনি আপিলকারী কর্তৃপক্ষ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে আপিল করতে পারবেন।
[৬] এ ব্যাপারে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বাজিতখিলা ইউপির দলীয় প্রার্থী মোহাম্মদ আলীর মনোনয়ন বিষয়ে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরসংবলিত একটি চিঠি অনতিবিলম্বে আপিলকারী কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করা হবে।
[৭] কামারিয়া ইউপির রিটার্নিং কর্মকর্তা শবনম মুস্তারী ও গাজীরখামার ইউপির রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হামিদুর রহমান ওই দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিলের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
[৮] এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শানিয়াজ্জামান জামান তালুকদার শুক্রবার সকালে বলেন, সদর উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫৯, সংরক্ষিত মহিলা সদস্যপদে ১৯৯ ও সাধারণ সদস্যপদে ৫৬৫ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র বাছাইকালে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও সাধারণ সদস্যপদে ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। ২৬ অক্টোবর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। প্রতীক বরাদ্দ ২৭ অক্টোবর। আর ভোট গ্রহণ করা হবে আগামী ১১ নভেম্বর।