সুজন কৈরী: [২] ঢাকা জেলার আশুলিয়ার শিমুলিয়ায় বাবা নুর মোহাম্মদকে (৬৮) বটি দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ঘাতক ছেলে মোহাম্মদ আফাজ উদ্দিনকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। তার কাছ থেকে একটি রক্তমাখা বটি, একটি রক্তমাখা বিছানার চাদর ও একটি রক্তমাখা লুঙ্গি জব্দ করা হয়েছে।
[৩] বুধবার র্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি সাজেদুল ইসলাম সজল জানান, মঙ্গলবার রাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এই ঘটনায় আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরপর র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে।
[৪] সাজেদুল জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক ছিলেন আফাজ উদ্দিন। তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে বারবার তার স্থান পরিবর্তন করে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করেন। কিন্তু র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারিতে ধরা পড়েন আফাজ উদ্দিন। আশুলিয়া এলাকা থেকে বুধবার ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৫] প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আফাজ উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এদিকে আশুলিয়া থানার এসআই কাওসার হামিদ গণমাধ্যমকে বলেন, আফাজ উদ্দিন মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় ২০০৬ সাল থেকে তার চিকিৎসা করছিলো পরিবার। আফাজ মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তার স্ত্রী রাতে পাশে ঘুমাতেন না। বাবা নুর মোহাম্মদ সন্তানের পাশে থাকতেন।
প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতেও নুর মোহাম্মদ ছেলের কক্ষে বাড়ির দ্বিতীয়তলায় ঘুমাতে যান। কিন্তু ভোররাতে আফাজ বটি দিয়ে বাবার গলার পেছনে আঘাত করেন। এ সময় গোঙানির শব্দ শুনতে পান পরিবারের অন্য সদস্যরা। পরে তারা আফাজের ঘওে গেলে নুর মোহাম্মদের রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান। এর আগেই আফাজ ঘর থেকে বেরিয়ে যান। পরে নুর মোহাম্মদকে সাভারের এনাম মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।