শিরোনাম
◈ ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে একটি যৌক্তিক জায়গায় পৌঁছাতে চায় কমিশন :  অধ্যাপক আলী রীয়াজ  ◈ বাংলাদেশিদের ভিসা জটিলতা বাড়ছে: শিক্ষার্থী, চিকিৎসক ও ভ্রমণকারীদের ভোগান্তি চরমে! ◈ পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে ভয়ঙ্কর সব তথ্য ◈ অর্থের বিনিময়ে ৬ বছরের শিশুকে বিয়ে: তালেবান প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আপাতত রক্ষা! ◈ আবারও মে‌সির জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামির জয় ◈ এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩

প্রকাশিত : ১৯ অক্টোবর, ২০২১, ১০:৩৬ দুপুর
আপডেট : ১৯ অক্টোবর, ২০২১, ১০:৩৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্র্যান্ডিং, উৎপাদন ও মান বাড়লে চা শিল্পে সুদিন ফিরবে : পবন চৌধুরী

ভূঁইয়া আশিক রহমান : লন্ডনভিত্তিক ‘ইন্টারন্যাশনাল টি কমিটি’-২০১৯ সালের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চা উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে নবম। একটানা কয়েক বছর ধরেই দশম অবস্থানে ছিলো বাংলাদেশ। গত শতাব্দীর শেষে চা উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ১১তম, ১৯৮৯ সালে ছিলো ১২তম।

দেশের চা শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি ও সম্ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ-বেজার সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সিটি গ্রুপের চিফ এডভাইজর পবন চৌধুরী বলেন, আমাদের চা শিল্পের সম্প্রসারণ সেভাবে ঘটেনি। অনেক চা বাগান বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকগুলো খুবই দুর্বল অবস্থায় আছে।

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, চা শিল্পে একসময় গেøাবাল মার্কেটে রপ্তানি ও উৎপাদনে ভালো অবস্থানে ছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু সেই অবস্থায় এখন নেই। কারণ মানুষ বেড়েছে, চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা যেমন বেড়েছে, অভ্যন্তরীণ বাজারও বড় হয়েছে চায়ের। কিন্তু উৎপাদন প্রত্যাশিত মাত্রায় বাড়েনি। আমাদের দেশে প্রতি হেক্টর যে পরিমাণ চা উৎপাদন হয়, তা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। ফলে আমাদের অনেক চা আমদানি করতে হয়।

পবন চৌধুরীর মতে, আবহাওয়ার কারণেও চায়ের কোয়ালিটিতে পার্থক্য হয়। ব্র্যান্ডিংয়ের কারণেও রপ্তানি করার মতো চা উৎপাদন হয়। শ্রীলঙ্কায় উৎপাদনশীলতা ভালো। তাদের সিলন ব্র্যান্ড চা আছে। বিশে^র বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে। এই ব্র্যান্ডটা তারা ডেভেলপ করতে পেরেছে। কোয়ালিটি এনসিউর করতে পেরেছে। ফলে তারা ভালো করছে।

তিনি বলেন, আমাদের কয়েকটা চায়ের ভালো বাগান আছে। যেমন ফিনলে চায়ের সুনাম আছে। ইস্পাহানির চায়েরও ভালো নামডাক আছে। ফিনলে ও ইস্পহানির মতো প্রতিষ্ঠানের স্ট্যান্ডার্ডে যদি অন্য সব প্রতিষ্ঠানও চা উৎপাদন করতে পারে অথবা শ্রীলঙ্কার কাছাকাছিও চা উৎপাদনে করতে পারে, তাহলে আবারও চা-শিল্পে আমাদের সুদিন আসবে। আবারও আমরা অনেক চা রপ্তানি করতে পারবো।

বাংলাদেশে চা বোর্ডের নিবন্ধিত ১৬৬টি চা বাগানে কাজ করেন প্রায় দেড় লাখ শ্রমিক। তাদের ন্যায্য মজুরি প্রশ্নে পবন চৌধুরী বলেন, চা উৎপাদন যদি বাড়ে, আমরা আবারও বেশি বেশি রপ্তানি করতে পারবো। চা শিল্প ভালো করলে শ্রমিকদের আয় বাড়বে। কোম্পানিগুলোর আয় বাড়বে। চা শিল্পের সুদিন আসা খুব জরুরি। কারণ বিনিয়োগকারীরা যাতে উৎসাহিত হন। শ্রমিকদের বাসস্থান, স্বাস্থ্য, বস্ত্র, লেখাপড়া, মানসম্মত জীবন দেওয়ার জন্য চা শিল্পের ভালো করা খুব জরুরি।

চা শিল্পে বিনিয়োগ করে যদি লাভ না হয়, তাহলে বিনিয়োগকারী আসবেন না। নতুন করে বিনিয়োগ করবেন না। নতুন চায়ের বাগান সম্প্রসারণ করবেন না। আমাদের চা বাগানগুলোর দুর্বলতাগুলো যদি কাটাতে পারি, একটা স্ট্যান্ডার্ড সেটআপ করতে পারি তাহলে চা রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। ফিনলে বা কর্ণফুলি বা ইস্পাহানি লেভেলে যদি আমাদের চায়ের মান আসে, তাহলে অনেক দূর এগোতে পারবো।

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়