আদিত্য শাহীন: [২] যে মুসলিম পবিত্র কোরআনের শক্তি বোঝেন, সর্বশক্তিমাণ প্রদত্ত এই সম্পূর্ণ জীবন বিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তার পক্ষে কোরআন নিয়ে কোনো রাজনৈতিক, হিংসাত্মক পাপাচারে লিপ্ত হওয়া সম্ভব নয়।
[৩] যে হিন্দু তার ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা রাখেন তার পক্ষে সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসবকে পণ্ড করে, বহু মানুষের মনে আঘাত দিয়ে এমন পরিস্থিতির জন্ম দেয়া সম্ভব নয়।
[৪] বোঝা যায়, একটি অনুদার ধর্মহীন গোষ্ঠীর জন্ম হয়েছে এদেশে। তারা ধর্ম রাজনীতি বাণিজ্য ভোগ সব একাকার করে ফেলেছেন। তাদের খেলার কাছে সব নস্যি।
[৫] গত শুক্রবার চুয়াডাঙ্গার একটি ছোট্ট জামে মসজিদে নামাজ পড়লাম। ইমাম সাহেবের মোনাজাত বেশ মনে ধরলো। তিনি বললেন, হে আল্লাহ্, ‘যারা কোরআনকে অসম্মান করছে তাদের যদি হেদায়েত থাকে আপনি হেদায়েত দিন, আর যদি হেদায়েত না থাকে, তাহলে আপনিই তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান।’ এমন অহিংস বাক্য গঠন করার জন্য ওই ইমামকে নামাজ শেষে ধন্যবাদ দিয়েছি।
[৬] অসাম্প্রদায়িকতা কি, তা সবাই ঠিকমতো বুঝি তো?
ধর্ম পালন কি সাম্প্রদায়িকতা?
ধর্মাচারে কি হিংসা থাকে?
শেষমেষ মনে হয়, আমরা ধর্মহীন কট্টরপন্থীদের ষড়যন্ত্র আর অপতৎপরতার শিকার হতে শুরু করেছি।
[৭] পরিস্থিতিকে সামনের দিকে বাড়তে দেবেন না। বক্তব্য দিতে পারেন বলেই অনলবর্ষী বক্তা হওয়ার দরকার নেই। সহনশীলতা দেখান। দেশকে সত্যিকারের ভালোবাসা দিন। মানুষকে ভালোবাসুন।