শিরোনাম
◈ জুলাই অভ্যুত্থানের সেই ঐক্য কোথায়? ◈ ব্রিটিশদের ‘নাকানিচুবানি’ দিতে ইরানের এক দশকের ‘ছায়া যুদ্ধ’: যেভাবে চলছে যুক্তরাজ্যের ভেতরে গোপন তৎপরতা ◈ চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত, আরও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ◈ এবার অঝোরে কাঁদলেন মিসাইল ম্যান কিম জং উন (ভিডিও) ◈ জুলাই নিয়ে ‘আপত্তিকর’ ফেসবুক পোস্ট: পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অবরোধ-বিক্ষোভ ◈ নতুন উচ্চতায় রেমিট্যান্স: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের সর্বোচ্চ প্রবাহ ◈ ডলারের দরপতনে রেকর্ড, ১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় পতনে বিশ্ববাজারে আস্থার সংকট ◈ “৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই চব্বিশের যোদ্ধাদেরও জাতি ভুলবে না” — তারেক রহমান ◈ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে বুধবার  সি‌রি‌জের প্রথম ওয়ানডে ম‌্যা‌চে  মু‌খোমু‌খি  বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১৮ অক্টোবর, ২০২১, ১২:১৯ রাত
আপডেট : ১৮ অক্টোবর, ২০২১, ১২:১৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১৬ বছর ধরে সপ্তাহে এক দিন বউ সাজেন পাকিস্তানের চার সন্তানের জননী

নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার এলেই তিনি নববধূ হন। সপ্তাহের ওই এক দিনই। পাকিস্তানের চার সন্তানের জননীর এই অদ্ভুত শখে হতবাক পড়শিরাও। প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু শখ থাকে। কেউ সাজতে ভালবাসেন, কেউ গাইতে, কেউ গল্প করতে। কিন্তু প্রতি শুক্রবার নববধূ হওয়ার এমন শখ হয়তো শোনা গিয়েছে বলে মনে হয় না।

হীরা জিশান। বয়স বিয়াল্লিশ। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের এই মহিলা প্রতি শুক্রবার নববধূর বেশে সাজেন। পড়শিরাও তাঁর এই আজব শখ নিয়ে নানা রকম আলোচনাও করেন। কিন্তু কেন এই অদ্ভুত শখ হীরার? এর পিছনে এক করুণ কাহিনিও আছে।

আজ থেকে ১৬ বছর আগে হীরার মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। মেয়েকে নিয়ে তাঁর চিন্তার অন্ত ছিল না। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। হীরার মায়ের প্রবল ইচ্ছা ছিল মৃত্যুর আগে মেয়েকে নববধূর বেশে দেখে যাবেন। হাসপাতালেরই এক কর্মী হীরার মাকে রক্ত দিয়েছিলেন। মায়ের ইচ্ছে মতো সেই কর্মীকেই বিয়ে করেন হীরা। তিনি বলেন, “হাসপাতালে খুব সাধারণ সাজেই বিয়ে হয়েছিল। এবং এক কাপড়েই। আর চার-পাঁচটা বিয়ের মতো ধুমধাম করে নয়।” বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যেই হীরার মায়ের মৃত্যু হয়। মাকে হারিয়ে একেবারে ভেঙে পড়েছিলেন হীরা।

এখানেই শেষ নয়। তার জন্য আরও চরম পরিস্থিতি যেন অপেক্ষা করছিল। পরবর্তী কয়েক বছরে ছয় সন্তানের মধ্যে দুই সন্তানকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন। অবসাদ গ্রাস করে তাঁকে। এই অবসাদ থেকে নিজেকে বার করে আনার জন্যই প্রতি শুক্রবার নববধূর বেশে নিজেকে সাজান। হীরার স্বামী লন্ডনে থাকেন। তাঁর কথায়, “একাকিত্ব থেকে নিজেকে বার করে আনতে, অবসাদ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে, নিজেকে আনন্দ দিতেই এই ভাবে সাজেন।” ১৬ বছর ধরে হীরা এ ভাবেই সেজে আসছেন প্রতি সপ্তাহে।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়