খালিদ আহমেদ: [২] মো. নুরুল ইসলাম সুজন আরো বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো আছে। তারা ধর্মকে ব্যবহার করে পূজার মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ এখন শান্তিতে আছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এটা তাদের সহ্য হচ্ছে না। মানুষের শান্তিতে থাকাটা ভালো লাগছে না।
[৩] শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) নেত্রকোনায় বড় স্টেশনের যাত্রী সুবিধার জন্য আধুনিকায়নে উন্নয়নকাজ উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
[৪] তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সব শক্তি যারা দেশের উন্নয়ন চায়, সেই ১৬ কোটি মানুষকে শেখ হাসিনার পেছনে থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
[৫] মন্ত্রী বলেন, আগামী বছর নেত্রকোনা থেকে সরাসরি রেলে চড়ে মানুষ চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার যেতে পারবে। নেত্রকোনা থেকে মোহনগঞ্জের লাইন সম্প্রসারণ করে সুনামগঞ্জ হয়ে সিলেটের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। সারা দেশের প্রত্যেকটি মিটারগেজ লাইনকে ডাবল লাইন ও ব্রডগেজ লাইনে উন্নীত করা হবে। সেই সঙ্গে পদ্মা সেতু হয়ে গেলে সরাসরি কলকাতা যাওয়া যাবে। এতে সময় অপচয়ও কম হবে।
[৭] মো. নুরুল ইসলাম সুজন আরও বলেন, একসময় রেল ও নদীপথই ছিল যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আমলে রেললাইন ছিল দুই হাজার কিলোমিটার। সড়কপথ ছিল সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার। গত ৫০ বছরে সড়কপথ বেড়ে হয়েছে ৪৫ হাজার কিলোমিটার। কিন্তু রেলপথ কমেছে ২০০ মিটার। বিভিন্ন সময়ে মার্শাল ল’ এসেছে জিয়া এবং এরশাদের সময়। এরা তখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পেসক্রিপশন দিয়েছে রেল বাড়ানো যাবে না। ব্রিজ করা যাবে না- এমনভাবে দেশকে পিছিয়ে রেখেছে। একটি দেশের রেলপথ যত উন্নত সে দেশ তত উন্নত। আমরা ভারতের দিকে তাকালে দেখতে পারি শুধু রেলপথ দিয়েই তারা কত এগিয়ে। তাদের রেল মন্ত্রণালয়ও রয়েছে।