সাদেক আলী, রিয়াজুর রহমান: [২] শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সকালে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। পাঁচলাইশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
[৩] বুধবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টায় চট্টগ্রাম মিরসরাই উপজেলার ৩ নম্বর জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম সোনাপাহাড় গ্রামের মোস্তফা সওদাগরের বাড়িতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
[৩] মধ্যরাতে ঘুমন্ত অবস্থায় নিজের বাবা- মা-ভাইকে গলা কেটে হত্যা করার পর নিজেকে বাঁচাতে ঘাতক সাদেক হোসেন সাজিয়েছিলেন ডাকাতির নাটক। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন নিজের বাবা-মা-ভাইকে হত্যা করার কথা।
[৪] নিহতরা হলেন- গৃহকর্তা সুফি সাহেবের ছেলে মোস্তফা মিয়া (৭০), তার স্ত্রী জোসনা আক্তার (৫৫) এবং ছেলে আহমদ হোসেন (২৫)।
[৫] পুলিশ জানায়, ১৫ দিন পূর্বে থেকে হত্যার পরিকল্পনা করে সাদেক। বসত বিটার ১২ শতক জায়গার মধ্যে ৪ শতক মোস্তফা লিখে দেন তার মেজ ছেলে আহম্মদ হোসেনকে। এটি ছিলো হত্যার প্রধান কারণ। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চুরি চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকা থেকে বুধবার সকালে কিনে আনেন সাদেক। ওই চুরি দিয়ে প্রথমে বাবাকে, এরপর মাকে হত্যা করে। বিষয়টি টের পেলে তাদের বাঁচাতে গিয়ে খুন হয় মেজো ভাই আহম্মদ হোসেন। পরে বাবা-মা-ভাইকে হত্যার পর নিজেকে বাঁচাতে ডাকাতির নাটক সাজান সাদেক।
[৬] চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) মোহাম্মদ লাবিব আব্দুল্লাহ গনমাধ্যমকে বলেন, ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনায় নিজে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেন সাদেক। এ ঘটনায় ব্যবহৃত চুরিটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
[৭] এ ব্যাপারে নিহত মোস্তফার মেয়ে বিবি জুলেখা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। আসামিকে শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানান তিনি। সম্পাদনা: হ্যাপি